thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

নির্বাচনকালীন সরকার : জেএসডির ৫ প্রস্তাব

২০১৩ অক্টোবর ৩০ ১৪:৫৭:২৮
নির্বাচনকালীন সরকার : জেএসডির ৫ প্রস্তাব

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধানে পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেয় দলটি।

প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- চলমান জাতীয় সংসদ পার্লামেন্টের ‘উচ্চকক্ষ’ গঠনের আইন প্রণয়ন করবে। বিভিন্ন শ্রম-কর্ম-পেশা ও সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয়, মেধাবী ও স্ব স্ব ক্ষেত্রে কীর্তিমান দশজনকে উচ্চকক্ষের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করবে সংসদ।

উচ্চকক্ষের বাকি সদস্যরা পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক নির্বাচিত হবেন। সংসদ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, দেশবরেণ্য একজন ব্যক্তিকে উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবে। আর এ উচ্চকক্ষের উপর নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।

উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যানকে প্রধান ও ১০ সদস্যকে মন্ত্রী বা উপদেষ্টা করে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আ স ম আবদুর রব বলেন, আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান করা হলে কোন পক্ষেরই জয় পরাজয় হবে না। বিজয় হবে গণতন্ত্রের। এ সরকার যেমন হবে নির্বাচিত, তেমনি হবে সাংবিধানিক, নির্দলীয় ও জবাবদিহিতামূলক। এতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সংসদ বহাল আছে। সংবিধান সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যাও সংসদে রয়েছে। তাই এটি বাস্তবায়নেও কোন সমস্যা হবে না।

আবদুর রব বলেন, ‘বিপরীতমুখী প্রস্তাবনা নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত দুটি পক্ষের উপস্থিতিতে পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষের প্রস্তাব পাসের জন্য একটি শক্তিশালী তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ উদ্যোগে গণফোরাম, বিকল্পধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, বাসদ, বাম মোর্চা, জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল দলসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় সংগঠনসহ তেল-গ্যাস-বন্দর ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটি, গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষা কমিটি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কমিটিসমূহও তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে সংলাপের উদ্যোগের পরও সরকারপক্ষের নেতাকর্মীদের পুলিশি ভূমিকা ও বিরোধীপক্ষের ভাঙচুর বোমাবাজীর মধ্যে দেশের জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছেন। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ক্রমেই বিপন্ন হচ্ছে। এভাবে একটি জাতি ও জনগণের ভাগ্যকে দুই দলের কায়েমী স্বার্থ চিন্তা ও খেয়াল-খুশির উপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। এর অবসানের জন্য প্রয়োজন এমন একটি প্রস্তাবনা যা বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কটের আপাতত সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে এর স্থায়ী সমাধানের পথ তৈরি হবে।’

জেএসডির এ নেতা বলেন, ‘দেশের সর্বশেষ রাজনীতি আগামী সংসদ নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রদত্ত দুই প্রস্তাব এবং দুই নেত্রীর সংলাপ নিয়ে আবর্তিত হচ্ছে। তাদের প্রদত্ত দুটি প্রস্তাব সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী। এখানে সমঝোতায় আসতে হলে এক পক্ষের জয় ও অন্য পক্ষের পরাজয় হবে। পরাজয় কেউই মেনে নেবে না। তাই সমঝোতার সম্ভাবনা এখানে ক্ষীণ। প্রতিটি নির্বাচনের পরপরই পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে যে সঙ্কট, সংঘাত ও সহিংসতা সৃষ্টি হয় এর স্থায়ী সমাধানের কোন দিকনির্দেশনা দুই দলের কারো প্রস্তাবনার মধ্যেই নেই। ফলে এ দুই প্রস্তাবের কোনোটির মাধ্যমেই সৃষ্ট সঙ্কট, সংঘাত ও সহিংসতার অবসান হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ গোফরান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ফারুক, সিরাজ মিয়া, শহীদউদ্দীন মাহমুদ স্বপন, তৌহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুস সাত্তার, আবদুল খালেক প্রমুখ।

(দিরিপোর্ট২৪/এ/আইজেকে/এমএআর/অক্টোবর ৩০, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর