thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

আই হ্যাভ এ ড্রিম-এর স্মরণ দিবস পালিত

২০১৪ জানুয়ারি ২৩ ০০:০৪:১৬

‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ বক্তৃতার জনকের স্মরণে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দিবস পালন করলো আমেরিকাবাসী। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরিবার খাবার তৈরি করে জনগণের মাঝে পরিবেশন করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অনুরূপ পৃথক কর্মসূচিতে অংশ নেন।

১৯৮৬ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি মার্টিন লুথার কিং দিবস হিসেবে প্রবর্তন ও পালন করে আসছে আমেরিকার জনগণ। ১৯৬৮ সালের এপ্রিলে কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলনের পুরোধা এই নেতা আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর তাঁর এই আত্মদানের স্বীকৃতি রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা যায়, এভাবেই বিজয়ের পথে এগিয়ে যায় মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের অধিকার আন্দোলন।

১৯২৯ সালে আমেরিকার আটলান্টায় জন্ম নেওয়া এই তরুণ তাঁর দেশের কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মুক্তির জন্য যে আন্দোলনের সূচনা করেন, অচিরেই তা কৃষ্ণাঙ্গদের বলয় ভেঙে শ্বেতাঙ্গদেরও উজ্জীবিত করে। যে কারণে তিনি মার্টিন লুথার থেকে মার্টিন লুথার কিং হিসেবে জনগণের হৃদয়ের রাজা হয়ে ওঠেন। বর্ণবাদী মার্কিনিরা তাঁর এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে না পেরে বেছে নেয় তাঁকে হত্যা করার নিষ্ঠুর পথ। কিন্তু শারীরিকভাবে তাঁকে হত্যা করলেও তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ আরও বেগবান হয়ে একটি বর্ণবাদী সমাজ থেকে মার্কিন জনগণকে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। যার সূত্র ধরে বারাক ওবামার মতো একজন কৃষ্ণাঙ্গ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পেরেছেন।

পৃথিবীর আরেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকায় যে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকে বর্ণবৈষম্যহীন আন্দোলনে পর্যবেসিত করেছেন তাও মার্টিন লুথার কিং-এর আত্মত্যাগেরই প্রতিফলন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর অনেক অগ্রসর দেশে আজ বর্ণবাদ পরাস্ত হলেও নানা চেহারায় তা পৃথিবীর অনেক দেশেই নগ্নভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। বর্ণবাদের নামে না হলেও জাতিগত, ধর্মগত, মতাদর্শগতভাবে মানুষ এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সে কারণেই মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সময়ের ধারায় দৃষ্টিভঙ্গিগতভাবে তাকে পুনঃস্থাপন করা দরকার।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert