thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হন রানা

২০১৪ জানুয়ারি ২৩ ২৩:০৪:৩৮
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হন রানা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাপানী তানভীর ও তারেকসহ ৪/৫ জন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এদিকে, নিহতের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রমনা থানা পুলিশের একটি সিভিল টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যুবলীগ নেতা জামালকে আটক করেছে।

রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান এ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত খুনের কারণ জানতে পারিনি।

রানার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান ও ভাগ্নে আলমগীর দ্য রিপোর্টকে বলেন, এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জাপানী তানভীর জড়িত। রানা তাদের অপকর্মে বাধা দিত। এ কারণে রানার ওপর জাপানী তানভীরের ক্ষোভ ছিল।

তাদের অভিযোগ, জাপানী তানভীর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারছিল না বলেই পরিকল্পিতভাবে রানাকে হত্যা করেছে।

রানার ভাগ্নে আলমগীর দ্য রিপোর্টকে বলেন, জাপানী তানভীর নিজেই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। মগবাজার মসজিদ গলির ১৭/২ নং বাসার সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে মামা যাচ্ছিল। আমি ছিলাম পেছনের মোটরসাইকেলে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তানভীর ও তারেকসহ আরও দুই থেকে তিনজন মামার মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করে। এরপর রাম দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় আমিসহ স্থানীয়রা মামাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালে নিয়ে আসি।

ডিএমসির কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান পান্না রাত ৮টার দিকে রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

রানার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান মিঠু জানান, রানা ঠিকাদারী ব্যবসা করত। কোনও ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে এলাকায় অপকর্মে সে বাধা দিত।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. রিপন জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও রনির হয়ে কাজ করে জাপানী তানভীর। তার সঙ্গে ফখরুলের ছোট ভাই তারেক, আসলাম খানের ছেলে রাশেদ, বগা রনিসহ আরও কয়েকজন মিলে এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। কিন্তু রানা তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবকে তথ্য দিত। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে না পারায় তারা পরিকল্পিতভাবে রানাকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও জানান, তানভীর রমনা থানার সাবেক ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল।

রমনা থানা স্বেচ্ছসেবক লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বপন জানান, রানা রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল। এর আগে রমনা থানা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিল। সে ঠিকাদারী ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিল। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে তিনি জানান।

রানা রমনার পূর্ব নয়াটোলার ১৬/এফ/১ নম্বর বাসায় থাকতো। তার বাবার নাম মৃত মজিবর রহমান। গ্রামের বাড়ি ঢাকার পূর্ব নবাবগঞ্জে। পাঁচ ভাই, তিন বোনের মধ্যে রানা ছিল দ্বিতীয়। ২৬ মার্চ মগবাজারে তার বিয়ের কথা ছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ-এসআর/এমএআর/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর