thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

থাইল্যান্ডে বাণিজ্য ঘাটতি ৯৫ শতাংশ

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৯:১৬:২৪
থাইল্যান্ডে বাণিজ্য ঘাটতি ৯৫ শতাংশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বছরে থাইল্যান্ড থেকে যে পরিমাণ আমদানি করা হচ্ছে, রফতানি করা হচ্ছে তার মাত্র ৫ শতাংশের সমান। দেশটিতে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির এ ব্যবধান প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের পণ্যের পরিচিতি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে তথ্য নিয়ে এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিমের সঙ্গে এক ইন্টারেক্টিভ ডায়ালগে (ভাব আদান-প্রদান সংলাপ) শনিবার এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য দেওয়া হয়।

এ সময় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি ও বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে থাইল্যান্ডে একটি ট্রেড এক্সপো আয়োজনের কথা জানান সাইদা মুনা তাসনিম। আগামী ৩০ ও ৩১ মে থাইল্যান্ডে এ এক্সপোটি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে সাইদা মুন তাসনিম জানান, এবারই প্রথম থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে ট্রেড এক্সপো করা হচ্ছে। অনেক লড়াই করে থাইল্যান্ডকে এই এক্সপোর জন্য রাজি করানো হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ ভালো বাণিজ্য সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কারণে তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের পণ্য সম্পর্কে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের তেমন ধারণা নেই। ট্রেড এক্সপোর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এতে দুই দেশের বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করছি।

এ সময় তিনি থাইল্যান্ডের ট্রেড এক্সপোতে ওষুধ, আরএমজি, সিরামিক, আসবাবপত্র, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, খাদ্য, কৃষি এবং পাট ও পাটজাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানদের অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

তিনি আরও জানান, থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা ১০টি পণ্য আমদানি করতে চাই। এ ১০টি পণ্যের তালিকা বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোন কোন পণ্য বাংলাদেশ রফতানি করতে পারবে তার বাছাই করার জন্য। সেই সঙ্গে পণ্যের তালিকাটি এফবিসিসিআইয়ের কাছে পাঠাতেও বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ২০০০-০১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে রফতানির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। এর বিপরীতে অর্থবছরটিতে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয় ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০০০-০১ অর্থবছরে থাইল্যান্ড থেকে আমদানির তুলনায় রফতানি কম ছিল ১৭ কোটি ডলারের উপরে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৫ লাখ ডলার। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ ডলার। অর্থাৎ আমদানির তুলনায় রফতানি ৬৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা কম। শতকরা হিসেবে রফতানি আমদানির ৫ শতাংশের সমান।

এফবিসিসিআই জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে রফতানি করা প্রধান পণ্যগুলোর মধ্যে আছে— নিটওয়্যার, প্রকৌশল, কৃষি পণ্য, ওভেন গার্মেন্টস, হিমায়িত খাদ্য, হোমটেক্স, পাটজাত পণ্য ও কেমিক্যাল। অপরদিকে আমদানি করা প্রধান পণ্যের মধ্যে আছে— প্লাস্টিক, টেক্সটাইল, খনিজ পণ্য, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, শাক-সবজি, পরিবহনসামগ্রী প্রভৃতি।

সাইদা মুনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, পরিচালক শেখ ফজলে ফাহিম, হাবিবউল্লাহ ডনসহ এবং বিভিন্ন চেম্বার ও এ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে ও থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রফতানি বাড়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে হবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পদক্ষেপ নিতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএস/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর