thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ভুল প্রবেশপত্র, বিপাকে জেএসসি পরীক্ষার্থীরা

২০১৩ নভেম্বর ০৩ ১৮:২৬:৪৪
ভুল প্রবেশপত্র, বিপাকে জেএসসি পরীক্ষার্থীরা

দিরিপোর্ট২৪ : ভুল প্রবেশপত্রের জন্য পরীক্ষার আগে বিপাকে পড়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থীরা। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ খবর পাওয়া যায়।

ঢাকা্ শিক্ষা বোর্ডের অনলাইন নিবন্ধণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে জেএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন অনলাইনে শুরু হয়েছে। প্রবেশপত্রও অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে হয়। স্কুলগুলোতে দক্ষ কর্মী না থাকায় ফরম পূরণের সময় ভুল হয়। তড়িঘড়ি করে কাজের জন্য আমাদেরও কিছু ভুল হয়। এজন্য প্রতি বছর প্রবেশপত্রে কিছু না ‍কিছু ভুল থেকেই যায়।’

রবিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে দেখা যায় এখনও অনেক স্কুলের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা প্রবেশপত্র সংশোধন করাতে বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তার কক্ষে ভিড় জমিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার ফেরদৌস আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামপ্রসাদ সরকার দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘আমার স্কুলের ৫ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশনকার্ডে বিভিন্ন ধরনের ভুল হয়েছে। অনেক আগেই সংশোধনের আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও প্রবেশপত্র হাতে পাইনি।’

ঢাকার মুহম্মদপুর ফিরোজা বাশার আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল দিরিপোর্ট২৪কে বলেন,‘আমাদের স্কুলের ৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬ জনের প্রবেশপত্রে একজনের ছবির জায়গায় অন্যের ছবি বসানো। আমরা ডাটা বেইজ ফরম ঠিক ভাবে পূরণ করেছিলাম। কিন্তু বোর্ডের কর্মকর্তাদের ভুলের জন্য আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা আছে দুঃশ্চিন্তায়।’

ঢাকার উত্তরার মালেকা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের ১০ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে ভুল হয়েছে। সংশোধণের জন্য আবেদন করার পরও এখনও প্রবেশপত্র পাইনি। তাই আজ আসতে হয়েছে। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরাও প্রবেশপত্র না পেয়ে দুশ্চিন্তায় আছে।’

ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর এ প্রসঙ্গে জানান, শিক্ষা বোর্ড নয় , ভুলের জন্য দায়ি স্কুলগুলোর কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোর ডাটাবেইস ফরম পূরণে অদক্ষকতার জন্য প্রবেশপত্রে ভুল হয়ে থাকে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি দ্রুত ভুল সংশোধণ করে পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশ পত্র পৌছে দিতে।’

তবে অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে কোন না কোন ভুল আছে।

তিনি বলেন, ‘গত মাসে হরতাল থাকায় কয়েকদিন ভূক্তভোগীদের চাপ কম ছিল কিন্তু হরতালের পর চাপ বেড়ে গেছে। এখনও সংশোধনের জন্য যে পরিমান আবেদন জমা পড়েছে তাতে সবাইকে পরীক্ষার পূর্বে সম্পূর্ণ নির্ভুল প্রবেশপত্র দেওয়া সম্ভব হবে না।’

প্রবেশপত্রে ভুলের সংখ্যা খুবই নগন্য দাবি করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘স্কুলগুলোর অদক্ষতার কারণেই মূলত প্রবেশপত্রে ভুল হয়। তারপরও আমরা বিনা ফি’তে এগুলো দ্রুত সংশোধন করে দেই। আশা করছি, সব পরীক্ষার্থীই পরীক্ষার আগে নির্ভুল প্রবেশপত্র পেয়ে যাবে। তারপরও যদি কেউ না পায় তাহলে পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। পরীক্ষার পরও শিক্ষার্থীরা তা সংশোধণ করিয়ে নিতে পারবে।’

৪ নভেম্বর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ১৮ দলের জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতালের জন্য ৪ নভেম্বরের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৮ নভেম্বর এবং ৬ নভেম্বরের পরীক্ষা হবে ৯ নভেম্বর।

(দিরিপোর্ট২৪/এসআর/এইচএস/এমডি/নভেম্বর ০৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর