thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১০ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

‘২১’ মানে…

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ২১ ০০:২৬:৪৪
‘২১’ মানে…

মাসুম আওয়াল, দ্য রিপোর্ট : ‘একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে রক্তমাখা বর্ণমালা, একুশ মানে ফুলে ফুলে ভরা শহীদ মিনার, একুশ মানে আরও অনেক কিছু।’ একুশ নিয়ে এ প্রজন্মের তারকারা জানালেন তাদের আবেগ অনুভূতির কথা। জানালেন একুশ নিয়ে তাদের ভাবনার কথা। দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের একুশের আয়োজনে তুলে ধরা হলো তাদের অনুভূতিগুলো।

দেবাশীষ বিশ্বাস
উপস্থাপক, চলচ্চিত্র নির্মাতা

একুশ একটা চেতনার নাম। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের গর্ব। এ দিবসটি এখন আন্তর্যাতিক ভাবে সারা পৃথিবীতেই পালিত হচ্ছে। আমরাই একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমরা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারকে নিয়ে গর্বিত। তবে আমরা এখন অনেকেই এই গর্ব খর্ব করছি। বাংলা ভাষার উচ্চারণকে বিকৃত করে ফেলছি। আমি একজন উপস্থাপক হিসেবে বলবো- আমরা যার যার জায়গাতে থেকে এই ভাষার উচ্চারণের বিকৃত চর্চা বন্ধ করতে পারি তাহলেই ভাষার প্রতি আমাদের সঠিক সম্মান জানানো হবে।

বাঁধন
অভিনেত্রী ও ডেনটিস্ট

একুশে ফেব্রুয়ারির জন্যই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। ১৯৫২ সালে এই ভাষার লড়াই না হলে আমাদের হয়তো অন্য কোনো ভাষাতে কথা বলতে হত। একজন মা হিসেবে আমার সন্তানকে সেই ইতিহাস জানানো আমার দায়িত্ব। আমার মেয়ে সায়রার বয়স এখন চার। কয়েকদিন আগেই ওকে শহীদ মিনার দেখিয়ে এনেছি। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন অনেক ভিড় থাকে বলে তাকে হয়তো নিয়ে যাওয়া হবে না।

নিরব
চিত্রনায়ক

বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার আমাদের অর্জন করতে হয়েছে অনেক সংগ্রাম করে। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার প্রাণ দিয়েছেন মায়ের মুখের ভাষার দাবিতে। তাই আমরা এখন গর্ব করে বলতে পারি- আমরা সারা পৃথিবীর মধ্যে সেই জাতি যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। আমার কাছে ২১ মানে আমাদের নিজের ঠিকানা। আমাদের গর্ব এ কারণে আরও বেশি আমাদের মায়ের ভাষা শুধু বাংলাদেশেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী।

আইরিন
চিত্রনায়িকা

২১ মানে আমাদের বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণমালা, আমাদের হাসি-কান্না। আমাদের গৌরব উজ্জল ইতিহাসের সূচনা হয়ছে এই দিনে। এ দিনটা না আসলে আমোদের এখনও হয়তো উর্দু ভাষাতে কথা বলতে হতো। আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ না হয়ে পূর্ব পাকিস্তান হতো। একুশে ফ্রেব্রুয়ারি আমাদের অন্যদের গোলামি থেকে মুক্ত করেছে। তাই একুশ মানে মুক্তি। একুশ মানে মা মাটি আর বাংলাদেশ।

সাইমন
চিত্রনায়ক

একুশ মানে আমাদের সব চেয়ে বড় পাওয়া বাংলাদেশ। একুশ মানে আমাদের চেতনা। একুশ মানে বাঙলীদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। আমাদের চলচ্চিত্র, গান, নাটক আমাদের প্রতিটি নিশ্বাসের সঙ্গে লেপ্টে আছে একুশে ফেব্রুয়ারির স্পন্দন। একুশে ফেব্রুয়ারি মতো এমন একটা দিন এসেছিলো বলেই আমরা প্রাণ খুলে গায়তে পারি- ‘মোদের গর্ব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা…’

কাজী নওশাবা
অভিনেত্রী

বাঙালী জাতির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন করেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। ২১ আমাদের ’৭১ এর দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছে। একুশ আমাদের গর্বের ইতিহাস। একুশ মানে দেশ প্রেম। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের শিখিয়েছে মায়ের টানে দেশের টানে আমরা সবাই একই সুতোই নিজেদের বাঁধতে পারি। একসঙ্গে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য লড়াই করতে পারি। আমি একজন মা হিসেবে মনে করি আমাদের সন্তানদের সেইসব ইতিহাস শেখানো, জানানো উচিত।

নাঈম
অভিনেতা

আমরা সবাই জানি একুশ মানে মাথা নত না করা। মায়ের ভাষায় কথা বলবো বলে আমরা ১৯৫২ সালে পাকিস্তানিদের কাছে মাথা নত করিনি বলেই এখন বাংলা ভাষাতে কথা বলতে পারছি। বাংলায় গান গাইতে পারছি। স্বাধীনভাবে চলতে পারছি।

স্পর্শিয়া
অভিনেত্রী

আমরা নতুন প্রজন্ম ২১শে ফেব্রুয়ারির কথা জেনেছি বই পড়ে। গুরুজনদের কাছে গল্প শুনে। এরপরও আমরা যখন প্রভাতফেরি করি, শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে মনের ভেতর। এই অনুভূতির নামই হয়তো দেশপ্রেম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নাটক ‘অবরোধ’ এর শুটিং করতে গিয়ে আমরা প্রভাতফেরি করেছি। তার অনুভূতিটাও ছিলো অন্যরকম।

(দ্য রিপোর্ট/এএ/এফএস/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর