thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে নারীজাগরণ ঘটবেই

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১৯:৪৯:৩০
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে নারীজাগরণ ঘটবেই

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বাংলাদেশে নারী জাগরণ : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মাসুদুজ্জামান।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুলতানা কামাল ও মুহম্মদ শহীদ উজ জামান। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে, মধ্য আয়ের দেশে এসে পৌঁছেছে, তাতে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনের চাপেই বা চাহিদার নিরিখেই নারী জাগরণ ঘটবে। ইতোমধ্যে সেই সম্ভাবনা অনেকখানি উন্মুক্ত হয়েছে। নারী উন্নয়নের যেসব বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ পাচ্ছে তাতে বিপুলভাবে নারীর অগ্রগতির তথ্য মিলছে।’

‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির পথরেখাটি সুস্পষ্ট। নারীদের নিজেদের যেমন তেমনি সরকার ও সাধারণ মানুষেরও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে সমাজের নানা ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নারী সংগঠনগুলোও নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক বা নির্যাতনমূলক কোনো ইস্যুতেই নীরব থাকছে না। একসময় যে ফতোয়ার ঘটনায় তোলপাড় ছিল দেশ, এখন সেই ফতোয়ার কথা তেমন শোনা যায় না। এসিড নিক্ষেপের ঘটনাও কমে এসেছে। এখন ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুসারে, নারী নির্যাতনও বেড়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আমরা আশা করি’ বলেন তারা।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে নারীর জাগরণ আজ সারাবিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে এক বিস্ময়কর ব্যাপার। এ দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্ষমতার কেন্দ্র পর্যন্ত নারীজাগরণের যে বিপুল বাস্তবতা ও সম্ভাবনা আমরা প্রত্যক্ষ করি তা দেশের সার্বিক অগ্রগতিরই স্মারক।

তারা বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই। নারী-পুরুষ সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে দেশ থেকে সব ধরনের নারী নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে একটি কল্যাণকামী সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শামসুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশে নারী জাগরণ এ দেশের সার্বিক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নকেই নির্দেশ করে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার জরিপেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। আমরা মনে করি, দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীর অংশগ্রহণকে আরও ব্যাপক ও কার্যকর করার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে আরও গতি আনা সম্ভব।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাজিয়া জাবীনের পরিচালনায় ফাউন্ডার সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্পর্শ’, উপেন্দ্রনাথ রায়ের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আরশিনগর, লালমনিরহাট’ এবং ড. মো. জিয়াউর রহমানের পরিচালনায় ‘হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমি’র শিল্পীবৃন্দ অংশ নেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এমএআর/এম/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর