thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

বাংলাদেশের প্রশংসায় ‘কৃপণ’ শাস্ত্রী!

২০১৬ মার্চ ০৫ ২০:৩০:৪০
বাংলাদেশের প্রশংসায় ‘কৃপণ’ শাস্ত্রী!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সাধারণত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতে কুণ্ঠা করেন না অপর দলের প্রতিনিধিরা। যদি প্রতিপক্ষ তাদের চেয়ে দুর্বল হয় তবুও কিছু একটা প্রশংসা করেন তারা। তবে শনিবার ভারতের টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রীকে দেখা গেল ভিণ্নরূপে। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের সম্পর্কে যেন প্রশংসা করতে আপত্তি রয়েছে তার! আর তাই তো এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল (রবিবার অনুষ্ঠিতব্য) ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গগুলো সুকৌশলেই এগিয়ে গেলেন তিনি।

রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের এই ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে শনিবার প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবি শাস্ত্রী। সেখানে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি প্রশংসাসূচক শব্দও ব্যয় করতে দেখা যায়নি তাকে। বরং তার কথায় ফুটে উঠেছে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে পাত্তা না দেওয়ার মনোভাব।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে ওই ম্যাচে ভারতীয়দের বেশ বেকায়দায় ফেলেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। কিন্তু সেজন্য বাংলাদেশের পারফরম্যান্স সম্পর্কে রবি শাস্ত্রীর প্রশংসনীয় দৃষ্টি নেই। বরং নিজ দলের গুণগানই করলেন ভারতের টিম ডিরেক্টর। শাস্ত্রী বলেন, ‘ওই ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন ছিল। প্রথম ১০ ওভারে বেশ চাপেই ছিলাম আমরা। কিন্তু শেষ অব্দি তা উতরে গিয়ে ম্যাচ জিতেছি। আসলে প্রতিটি ম্যাচই কঠিন। এটা হলো ব্যাট ও বলের মধ্যে আপনি কীভাবে সমন্বয় করতে পারছেন সেই বিষয়। প্রথম ম্যাচে আমরা তা চমৎকারভাবে করে দেখাতে পেরেছি।’

বাংলাদেশ নিজ মাঠে খেলছে। দর্শক সমর্থন বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ফাইনালে কী ভারত চাপে থাকবে? না, রবি শাস্ত্রী তেমনটা মনে করছেন না। বরং বাংলাদেশের পক্ষে দর্শক সমর্থনের বিষয়টিকেও পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। শাস্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে কে ভাবে! আমরা এতে (স্বাগতিক দর্শকের বিপক্ষে খেলা) অভ্যস্ত। মাঠে শতভাগ চিৎকার চেঁচামেচি হতে দিন। তাতে কিছু যায় আসে না। সর্বোচ্চ লেভেলে খেলতে হলে এতে আপনাকে অভ্যস্ত হতেই হবে। বরং অনেক সময় এটা অন্য দলের জন্য (অতিথি দল) বাড়তি সুবিধাই দেয়।’

ম্যাচের পিচ কেমন হতে পারে তা নিয়েও টেনশন নেই ভারতের টিম ডিরেক্টরের। তার মতে, পিচের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এ নিয়ে চিন্তা করেও লাভ নেই। আমরা সব ধরনের পিচে খেলতেই প্রস্তুত। সেখানে তো একটি দল খেলবে না, দুই দলকেই খেলতে হবে।

মোদ্দা কথা, রবিবারের ফাইনালে ভারতের ভালো করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রবি শাস্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ তাকে বিচলিত করছে না। হতে পারে তিনি আসলে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখে মনে মনে তিনি বিচলিতই। তবে মুখে এমন আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে ফাইনালের আগে বাংলাদেশ দলকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে চাইছেন। আর কে না জানে, ম্যাচের আগে কথার মারপ্যাঁচে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ম্যাচের জয়ের অন্যতম কার্যকরী এক কৌশল!

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এম/মার্চ ০৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর