thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

ভাল নেই তেজগাঁওস্থ বীরাঙ্গনা মায়েরা

২০১৬ মার্চ ০৮ ১০:২৫:০৫
ভাল নেই তেজগাঁওস্থ বীরাঙ্গনা মায়েরা

মুহম্মদ আকবর, দ্য রিপোর্ট : ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। এদিন সারা বিশ্বে নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নানা সভা সমাবেশ হয়ে থাকে। যথাযোগ্য মর্যাদা আদায়ের উদ্দেশে বাংলাদেশেও এ দিনটি পালিত হয়। কিন্তু আশানুরূপভাবে বদলায় না নারীর জীবন। এ অপ্রত্যাশিত চিত্র শুধু প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের মাঝেই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিপুল পরিমাণ নারী সম্ভ্রম হারানোর বেদনা নিয়েই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্বাধীনতার এতকাল পরে সম্প্রতি এ ত্যাগের স্বীকৃতি পেলেন মাত্র ৪১ জন বীরাঙ্গনা। একই সময় সারা দেশে হাজার হাজার বীরাঙ্গনা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অবহেলায় দিন পার করছেন। কেউ বা ধর্ষিতা নারীর অপবাদে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না খেয়ে, না পরে দিন কাটাচ্ছেন। পাননি সামাজিক কিংবা রাষ্টীয় স্বীকৃতি। রাজধানীর ভেতরেই রয়েছে এর জ্বলন্ত উদাহরণ।

তেজগাঁও'র রেলগেট ঘেঁষে বেড়ে ওঠা সেঁতসেঁতে বস্তিতে বাস করছেন ৮ বীরাঙ্গনা। এঁদের কেউ স্বামী সন্তানহারা, কেউ সর্বশ্বহারা। জীবনের অন্তিম সময়ে বেঁচে থাকার জন্য কেউ ভিক্ষা করছেন, কেউ বা মানুষের ঘরে কাজ করেই অন্ন যোগার করছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিপর্যস্ত হওয়া এই নারীদের আছে উপযুক্ত প্রমাণ তবুও মিলছে না স্বীকৃতি। তেজগাঁওবাসী বীরাঙ্গনা আচিয়া, আমেনা, সাবিহা, জামেলা, আম্বিয়া, জুবেদা, গুলবাহার ও নুরুননাহার জানান, তাদের বিষয়ে অবগত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তারা প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর সংগে দেখাও করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের তথ্য প্রমাণ দেখে স্বীকৃতির আশ্বাস দেন। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করলেও আজ অবধি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সে ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়নি।

এই আটজন নারীর পরম সতীর্থ ও আশ্রয়দাতা মুক্তিযোদ্ধা স্বর্ণলতা ফলিয়া আক্ষেপের সাথে দ্য রিপোর্টকে বলেন, 'এরা সবাই মৃত্যুর দারপ্রান্তে। নানা রোগসহ বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছেন। যদি কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই এঁরা মারা যায় তবে রাষ্ট্র কী দায়মুক্ত হবে? এত ত্যাগের ফল এমন হলে একদিন মানুষ রাষ্ট্রের সংকটে আর এগিয়ে আসবে না। সুতরাং আমি বলবো তেজগাঁওয়ের এই আট জন কেনো, আমি চাই স্বাধীনতা যুদ্ধে ভুক্তভোগী সবাইকে অর্থ না হোক, অন্তত স্বীকৃতিটা দেয়া হোক।'

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণলয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, 'আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। পাকসেনাদের কবলে পরে আমাদের মা-বোনদের সর্বস্বান্ত হতে দেখেছি। সুতরাং হতাশ হবার কারণ নাই। আমরা এ বিষয়ে খুব সচেতনতার সাথে কাজ করছি। তথ্য প্রমাণ থাকলে সবাই অনতিবিলম্বে স্বীকৃতি পাবেন।

(দ্য রিপোর্টি/এমএ/এআরই/এনআই/মার্চ ০৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর