thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

ওয়াটা কেমিক্যালে কোম্পানি আইন ও সিজিজি উপেক্ষিত

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৮:০৮:৪৭
ওয়াটা কেমিক্যালে কোম্পানি আইন ও সিজিজি উপেক্ষিত

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কোম্পানি আইন ও করপোরেট গভর্নেন্স গাইডলাইনস (সিজিজি) পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) ওয়াটা কেমিক্যাল। এ অবস্থায় কোম্পানিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

ওয়াটা কেমিক্যালের ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মো. শফিকুর রহমান মাত্র ০.৪২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেও পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন। কিন্তু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদে থাকতে হলে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওয়াটা কেমিক্যালের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আলী আহসান বলেন, ২৯ জুন বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগেই তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার ধারণ করেছেন। এজিএমে সকলের সম্মতিতে তিনি পরিচালক হিসেবেই কোম্পানিতে রয়েছেন।

সিজিজির ৩(১) নং ধারা অনুযায়ী প্রত্যেকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে পরিচালনা পর্ষদের সাব-কমিটি হিসেবে একটি অডিট কমিটি রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ওয়াটা কেমিক্যালে এর বালাই নেই।

‘বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (বিএফআরএস)-৭’ অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলার কৌশল উল্লেখ করার নিয়ম থাকলেও ওয়াটা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেনি।

আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মজুদের পরিমাণ ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা উল্লেখ করেছে। তবে নিরীক্ষকের উপস্থিতিতে তা পরিমাপ করা হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে কোম্পানির মজুদ পণ্য নিয়ে নিরীক্ষক কোয়ালিফাইড মন্তব্য দিয়েছে।

এ ছাড়া ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের সেকশন-১৮৫, সিডিউল-১১, পার্ট-১ অনুযায়ী পরিচালক, ম্যানেজার এজেন্টস এবং ম্যানেজারের কাছ থেকে কোম্পানি ঋণ নিলে তা পৃথকভাবে দেখাতে হবে। কিন্তু ওয়াটা কেমিক্যাল পরিচালকদের ঋণকে ‘শর্ট টার্ম লোন’ হিসেবে দেখিয়েছে।

উপরিউক্ত বিষয়ে আলী আহসান বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা থাকে অডিট ফার্মগুলোর মধ্যে। মজুদের ক্ষেত্রে অডিট ফার্মের ফিজিক্যাল ইনভেন্টরি রিপোর্ট পুরো নিয়ম মেনে করা হয়নি এটা ঠিক।

২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৪২ ধারা অনুযায়ী নীট আয়ের ৫ শতাংশ শ্রমিক ফান্ড গঠনের নিয়ম রয়েছে। আর গঠিত ফান্ডের দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিবছর বিতরণ ও বাকি অংশ মুনাফাযোগ্য খাতে বিনিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ওয়াটা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ ফান্ড গঠন করলেও শ্রম আইন অনুযায়ী বিতরণ করে না।

শ্রমিক ফান্ডের বিষয়ে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা বলেন, ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তবে বিতরণের ক্ষেত্রে কিছুটা গাফিলাতি আছে। ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ফান্ডের অবিতরণকৃত অর্থ জমা আছে। সেখান থেকে যে মুনাফা আসবে তা শ্রমিকদের মধ্যে সমানহারে বিরতণ করে দেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/ডব্লিউএন/সা/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর