thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

সৈয়দ মুজতবা আলী

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১১ ০০:৪৯:৩২
সৈয়দ মুজতবা আলী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান গদ্যশিল্পী সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তুখোড় রসবোধসম্পন্ন লেখার জন্য তিনি বিখ্যাত।

সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ সিকান্দার আলী। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রথমদিকের ছাত্র। সেখানে সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি, ফার্সী, হিন্দী, গুজরাটি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইটালিয়ান ভাষা শিখেন। ১৯২৬ সালে এখান থেকে বিএ পাস করেন। এর পর আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। দর্শনশাস্ত্র পড়ার জন্য বৃত্তি নিয়ে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণার জন্য তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৩২ সালে। ১৯৩৪-১৯৩৫ সালে মিসরে কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন।

আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত কাবুলের একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। সেখানে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষা পড়াতেন। ১৯৩৫ সালে বরোদার মহারাজার আমন্ত্রণে বরোদা কলেজে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখানে আট বছর কাটান। এর পর দিল্লীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। পরবর্তীকালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করেন। পঞ্চাশের দশকে পাটনা, কটক, কলকাতা ও দিল্লীতে আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬১ সালে শান্তিনিকেতনে ফিরে বিশ্বভারতীর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

শান্তিনিকেতনে পড়ার সময় সেখানকার বিশ্বভারতী নামের হাতে লেখা ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখতেন। পরবর্তী সময়ে ‘সত্যপীর’, ‘ওমর খৈয়াম’, ‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী’ প্রভৃতি ছদ্মনামে তখনকার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখেন। লিখেছেন ভ্রমণকাহিনী, ছোটগল্প, উপন্যাস ও রম্যরচনা। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ৩০। ভ্রমণকাহিনীর মধ্যে রয়েছে- দেশে বিদেশে (১৯৪৯) ও জলে ডাঙ্গায় (১৯৬০)। উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- অবিশ্বাস্য (১৯৫৪), শবনম (১৯৬০) ও শহরইয়ার (১৯৬৯)। ছোটগল্পের মধ্যে রয়েছে- চাচা কাহিনী (১৯৫২) ও টুনি মেম (১৯৬৪)। রম্যরচনার মধ্যে রয়েছে- পঞ্চতন্ত্র (১৯৫২) ও ময়ূরকণ্ঠী (১৯৫২)। তার লেখা সমগ্র আকারে পাওয়া যায়।

লেখালেখির জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নরসিং দাস পুরস্কার (১৯৪৯), আনন্দ পুরস্কার (১৯৬১) ও একুশে পদক (২০০৫)।

তার স্ত্রীর নাম রাবেয়া খাতুন।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এমডি/সা/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

এই দিনে এর সর্বশেষ খবর

এই দিনে - এর সব খবর