thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

‘সাংবাদিকদের ডাটাবেজ করবে প্রেস কাউন্সিল’

২০১৬ অক্টোবর ১৮ ১৮:৩৭:০২
‘সাংবাদিকদের ডাটাবেজ করবে প্রেস কাউন্সিল’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রত্যেক মিডিয়া হাউজ থেকে তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। সংস্থাটির উদ্যোগে ল’ বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় প্রেস কাউন্সিলের হলরুমে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ে ওপর প্রশিক্ষণ দেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজের) একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন খান ও কাউন্সিলের সচিব (সরকারের যুগ্ম সচিব) শ্যামল রঞ্জন কর্মকার।

মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রত্যেক পেশায় একটা স্বীকৃতির বিষয় থাকে। যারা আইনজীবী তাদের নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদ নিতে হয়। কিন্তু সাংবাদিকতায় সে ধরনের কোনো কিছু নেই। তাই যে কেউ এই পেশায় এসে মূলধারার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেন।

এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি দেশের ২৬টি জেলায় সফর করেছি। তারা সবাই চায় সাংবাদিকদের সনদের ব্যাপারটা থাকুক। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে এটাকে সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ হিসেবে আখ্যা দিতে চান। তবে আমরা এখন উদ্যোগ নিচ্ছি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের একটা ডাটাবেজ তৈরি করার। এজন্য প্রত্যেক হাউজকে তাদের কর্মীদের বিস্তারিত তালিকা প্রেস কাউন্সিলকে প্রদানের জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

পেশাগত ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকদের নিজেদেরেই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা দুনিয়ার সব সমস্যা নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু নিজেদের পেশার সমস্যা নিয়ে কথা বলেন না। সাংবাদিকদের অধিকার সম্পর্কে তারা নিজেরাই সচেতন নন। পেশাগত সমস্যা দূরীকরণে আপনাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদপত্রের মজুরি বোর্ড ঘোষণা ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনারা নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণার কথা বলছেন, অথচ অষ্টম ওয়েজবোর্ডই বাস্তবায়িত হয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠান ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলে ‘রেড কার্ড’ নিয়েছেন। আমরা শুনি অনেক হাউজ একবার বেতন দিয়ে আবার কর্মীদের কাছ থেকে টাকা ফিরিয়ে নেন। আর দেখান যে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছেন। আপনারা সক্রিয় না হলে এসব অনিয়ম দূর করা যাবে না। আমরা কোনো উদ্যোগ নিলে তখন বলা হয় সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

কর্মশালায় সাংবাদিকতার নীতিমালা বিষয়ে বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সংবাদপত্র স্বাধীন হলেও তাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়। আপনি যে সমাজে বাস করেন সেই সমাজের মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে অস্বীকার করতে পারেন না। অন্যকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেয় করা বা ধারণা থেকে সংবাদ লেখা যাবে না। কারণ এখন সব জায়গায় কোয়ালিটির কথা আসছে। তাই জার্নালিজমের ক্ষেত্রেও কোয়ালিটি জার্নালিজমের ধারণা দিনে দিনে বিকাশ লাভ করছে। সেই প্রতিযোগিতায় যে টিকতে পারবে না, সে ঝরে পড়বে।

এলআরএফ সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলমের পরিচালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি শামীমা আক্তার। কর্মশালায় ল’ বিটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এস/অক্টোবর ১৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর