thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

‘অতিরিক্ত’ পদ ছাড়েননি যশোরের সাত বিএনপি নেতা

২০১৬ অক্টোবর ২০ ২১:১০:২২
‘অতিরিক্ত’ পদ ছাড়েননি যশোরের সাত বিএনপি নেতা

যশোর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে সংশোধিত গঠনতন্ত্রে এক নেতা একাধিক পদে না থাকার বিধান রাখা হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন এমন নেতাদের একটি রেখে অন্যগুলো ছেড়ে দিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আড়াই মাস আগে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া যশোরের সাত নেতা তাদের ‘অতিরিক্ত’ পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। কোনটি রেখে কোনটি ছাড়বেন এই নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে।

চলতি বছরের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। গত ৯ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে বরাবরের মতো স্থায়ী কমিটির সদস্য হন সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম। আর তার ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া যশোরের অমলেন্দু দাস অপু সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জাহানারা বেগমকে কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যশোর থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মুনিরুল হুদা কাজী, আবুল হোসেন আজাদ, টিএস আইয়ুব, মতিয়ার রহমান ফরাজী, চমন আরা বেগম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নী ও অধ্যাপক ফিরোজা বুলবুল কলিকে।

এদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু আগে থেকেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে এই দুটি পদের যে কোন একটি ছাড়তে হবে। টিএস আইয়ুব আছেন বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে। মতিয়ার রহমান ফরাজী দায়িত্বে আছেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি হিসেবে। আর সাবেক সংসদ সদস্য চমন আরা বেগম মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভানেত্রী ও যশোর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী। অধ্যাপক ফিরোজা বুলবুল কলি মহিলা দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক। এদের সবাইকে বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কোন একটি রেখে বাকি পদ ছাড়তে হবে।

এছাড়া যে কোন একটি পদ ছাড়তে হবে আড়াই মাস আগে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুকে। তবে এখনো পর্যন্ত এসব নেতারা পদ ছাড়েননি। অনেকে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি-কোনটা ছেড়ে কোনটা রাখবেন।

এ বিষয়ে ফিরোজা বুলবুল কলি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সম্প্রতি সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে সেখানে আমি আছি কি না তা জানি না। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হলে তারপর পদ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’

গঠণতন্ত্র অনুযায়ী ইতোমধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা একটি পদ রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দিয়েছেন। তবে যশোরে এখনো কোন নেতা পদ ছাড়েননি। এই নিয়ে দলটির মধ্যম সারির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করে এসব নেতারা আন্দোলন সংগ্রামে না থেকেও যারা একাধিক পদে রয়েছেন তাদের ‘পদ নির্ভর নেতা’বলে মূল্যায়ন করছেন।

জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘যশোরে এখনো কেউ পদ ছাড়েননি। আমি নিজে কৃষক দলের সঙ্গে এখন আগের মতো সম্পৃক্ত নেই। এজন্য ওই পদটি ছেড়ে দেব। অন্যরাও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেবেন।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এপি/এনআই/অক্টোবর ২০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর