thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

২০১৬ অক্টোবর ২১ ২০:১৭:১৭
গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

পাভেল রহমান, দ্য রিপোর্ট : রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালা সেজেছে বর্ণিল সাজে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে ১০ দিনের ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৬’। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, 'ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারতের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বন্ধত্ব তৈরি হয়েছে সেই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে নিজস্ব সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে।'

ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে মন্ত্রী অনুরোধ করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মীরা যেন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারে। সৈয়দ শামসুল হকের 'নুরুলদীনের সারা জীবন' নাটকের প্রস্তাবনা অংশটি আবৃত্তি করে শোনান সংস্কৃতিমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক শ্রীমতি জয়শ্রী কুণ্ডু, হাসান আরিফ, ঝুনা চৌধুরী, দ্বিতীয় সৈয়দ হক, প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মীর জাহিদ হাসান।

এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে। উৎসবে সৈয়দ হকের মৌলিক ও অনুবাদ করা ৫টি নাটকের প্রদর্শনী হচ্ছে। নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে— থিয়েটারের (বেইলি রোড) ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, প্রাঙ্গণেমোরের ‘ঈর্ষা’, চারুনীড়মের ‘ডেড পিকক’, নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘ম্যাকবেথ’।

আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, 'এই মঞ্চে আজ হয়তো সৈয়দ শামসুল হক থাকতেন। আমি তার সাথেই আসতাম। তাকে ছাড়া খুব কমই এসেছি শিল্পকলায়। প্রকৃতি মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এটাই প্রকৃতির নিয়তি। তবে তিনি আছেন এই উৎসবে। সবার কর্মযজ্ঞেই তিনি আছেন।'

অনুষ্ঠানে সৈয়দ শামসুল হকের ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক বলেন, 'বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি কোন পরিচয়ে বড় হতে চাও? তিনি বলেছিলেন, 'আমি কবি, আমি নাট্যকার'। বাবা নাট্যাঙ্গনকে খুবই ভালোবাসতেন। নাটকের মানুষদের নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। এই উৎসব বাবাকে উৎসর্গ করা হচ্ছে। এতে আমাদের পরিবার সম্মানিত অনুভব করছি।'

গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের উদ্যোগে পঞ্চমবারের মতো এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। আগামি ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এবং নৃত্য ও সংগীত মিলনায়তনে ভারতের তিনটি, ঢাকার ২৫টি এবং ঢাকার বাইরের দুটি’সহ মোট ৩০টি নাট্যদলের মঞ্চনাটক মঞ্চস্থ হবে।

এছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে পরিবেশন করা হবে ৫৩টি সংগঠনের আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও পথনাটক। সব মিলিয়ে এবারের উৎসবে ৮৪টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশী শিল্পী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেবেন।

উৎসবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সহযোগিতা করছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/এম/অক্টোবর ২১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর