thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

আ’লীগের সম্মেলন শনিবার শুরু

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে হবে কমিটি

২০১৬ অক্টোবর ২১ ২৩:০২:৫৬
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে হবে কমিটি

মুহম্মদ আকবর, দ্য রিপোর্ট : দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন শনিবার। নেতৃত্বে পরিবর্তন-এই আভাসের মধ্য দিয়ে ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ গঠন করা হবে।

‘উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’- এ প্রতিপাদ্যে শনিবার সকাল ১০টায় স্বাধীনতার হৃদয়মাঠ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, ক্ষমতার চার বছরে ঝিমিয়ে পড়া দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করে বিরোধী দলের সম্ভাব্য আন্দোলন মোকাবিলা ও আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করাই এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, দলের সভাপতি পদে শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হচ্ছেন, এটা নিশ্চিত। সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সম্ভাবনা বেশি থাকলেও, শেষ মুহূর্তে এ পদে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের নাম জোরেশোরে উঠে আসছে। এটিই এখন সম্মেলনের মূল আর্কষণ। তবে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য পদে কারা আসছেন, সেটিও নিয়েও রয়েছে জল্পনা-কল্পনা। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও সাবেক ছাত্রনেতাদের এসব পদে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে সম্মেলনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আয়োজনে দলের জেষ্ঠ্য নেতারা বলেছেন। নতুনদের জায়গা করে দিতে কেন্দ্রীয় কমিটির অবয়ব বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে ৭৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ৮১ সদস্যবিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সভাপতিমণ্ডলীতে দু-একজন নতুন মুখ আসতে পারে। সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্যের মধ্যে কেউ কেউ বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে নতুন মুখ আসতে পারে। ফলে কে পদে বহাল থাকছেন, আর কে বাদ পড়ছেন বা কার পদোন্নতি হচ্ছে, এ নিয়ে অনেক নেতা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। সবাই দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্য ও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।

এ ছাড়াও গত দুই সম্মেলনে বাদ পড়া ‘সংস্কারপন্থী’ জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির নেতাদের এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা আছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করায় এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। শনিবারের সম্মেলনে ‘সংস্কারপন্থী’ নেতাদের ব্যাপারে শেখ হাসিনা কী সিদ্ধান্ত নেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ব্যাপক আগ্রহ আছে।

বেলা ৩টায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে। এ সময় কাউন্সিলরদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও কেবল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে কাউন্সিলররা আগের রীতি অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ভার শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করবেন বলে জানা গেছে।

সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের কোনো সংশোধনী আসছে না। তবে ঘোষণাপত্রে পরিবর্তন আনা হবে। তাতে গত চার বছরের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সাফল্যের কথা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি আগামী দিনের লক্ষ্য ও নীতিমালার একটা অনুপঙ্খ বর্ণনা থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচন সামনে রেখে একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

এদিকে, সম্মেলন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বড় প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। নৌকাসদৃশ বিশাল মঞ্চ করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের নতুন কমিটি নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচলনার জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।

মোট পাঁচ সদস্যের এ কমিশনে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে। নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মশিউর রহমান ও সাবেক সচিব রাশিদুল আলম। সম্মেলনে ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নেবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে বড় পর্দায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উদ্বোধন

বেলা ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় ৭৩টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা একই সঙ্গে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন।

আওয়ামী লীগের আজকের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ভিনদেশি অতিথি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ১২টি দেশের ৫৫ জন অতিথি আসছেন। ভারত থেকে আসছেন বিজেপির নেতা রাজ্যসভার সহসভাপতি বিনায়ক প্রভাকর, রাজ্যসভার সদস্য অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী ও অনির্বাণ গাঙ্গুলী, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য মৌসুম নূর এবং ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ছেলে অভিজিৎ মুখার্জী। চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেন শিয়াও সংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেবে বলে জানিয়েছে অভ্যর্থনা কমিটি।

সম্মেলনে আসছেন ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী, ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব, আসাম ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের আবদুস সবুর তপাদার এবং আমিনুল ইসলাম, আসাম গণপরিষদের শ্রী প্রফুল্ল কুমার মোহন্ত এবং শ্রী ধ্রুবজ্যোতি শর্মা। এ ছাড়া ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, রাশিয়া, ইতালি, অস্ট্রিয়ার এক বা একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

বন্ধ থাকবে রাজধানীর ১৪ পয়েন্ট

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ১৪ পয়েন্টে যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না। সেসব সড়কের যানবাহন ডাইভারশনের মাধ্যমে বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করবে। ২২ ও ২৩ অক্টোবর সম্মেলনস্থলসহ রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সম্মেলনের দুই দিন ২২-২৩ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে বিজয় সরণি হয়ে ভিআইপি রোডের গাড়িগুলো রূপসী বাংলা-শাহবাগ-টিএসসি হয়ে ডানে মোড় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না পৌঁছানো পর্যন্ত ভিআইপি রোডে অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না। উত্তরা হয়ে মহাখালী উড়ালসেতুতে চলাচলকারী গাড়িগুলো এই উড়ালসেতুর নিচ দিয়ে মহাখালী টার্মিনাল-মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-রাজমণি ক্রসিং-নাইটিঙ্গেল-ইউবিএল-জিরোপয়েন্ট-আবদুল গণি রোড-হাইকোর্ট ক্রসিং-দোয়েল চত্বর দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে।

মাওয়া থেকে আসা গাড়িগুলো সদরঘাট-বাবুবাজার-গুলিস্তান-জিরো পয়েন্ট-আবদুল গণি রোড-পুরোনো হাইকোর্ট ক্রসিং-দোয়েল চত্বর-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে গন্তব্যস্থলে যাবে। চট্টগ্রাম বিভাগ, সিলেট বিভাগ অথবা যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর থেকে আসা গাড়িগুলো মেয়র হানিফ উড়ালসেতু-চানখাঁরপুল-দোয়েল চত্বর-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে গন্তব্যস্থলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করার পর ভিআইপি রোড (হেয়ার রোড-রূপসী বাংলা-সোনারগাঁও-বিজয় সরণি) স্বাভাবিক থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনস্থল ত্যাগ করার সম্ভাব্য দুই ঘণ্টা আগে মৎস্য ভবন, কাকরাইল চার্চ থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত সড়কে ডাইভারশন চলবে। এ সময় কদম ফোয়ারা দিয়ে গাড়িগুলো ইউবিএল-নাইটিঙ্গেল-কাকরাইল চার্চ-মগবাজার দিয়ে মহাখালী যেতে পারবে।

গাবতলী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি থেকে আসা গাড়িগুলো মিরপুর রোড দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-রাসেল স্কয়ার-সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং-নিউমার্কেট ক্রসিং-নীলক্ষেত ক্রসিং-আজিমপুর ক্রসিং-পলাশী ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে।

২২ ও ২৩ অক্টোবর সকাল ৭টা থেকে ডাইভারশন শুরু হবে। এ জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-ফার্মগেট অভিমুখে কোনো গাড়ি আসবে না এবং রাসেল স্কয়ার-পান্থপথ অভিমুখে কোনো গাড়ি যাবে না। সব গাড়ি নিউমার্কেট-সায়েন্স ল্যাবরেটরি-নিউমার্কেট-আজিমপুর-পলাশী-জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পার্কিংয়ে প্রবেশ করবে অথবা নিউমার্কেট-নীলক্ষেত-ফুলার রোড দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে। কাঁটাবন থেকে কোনো গাড়ি শাহবাগের দিকে আসবে না। কাঁটাবন থেকে ডানে মোড় নিয়ে নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করবে। টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না। শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন এবং মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ অভিমুখে কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না।

হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বরে গাড়িগুলো প্রবেশ করতে পারবে। তবে দোয়েল চত্বর থেকে হাইকোর্ট ক্রসিংয়ে কোনো গাড়ি যাবে না। অন্যদিকে ইউবিএল চত্বর থেকে কোনো গাড়ি কদম ফোয়ারার দিকে আসবে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে রাস্তা উভয় দিকে বন্ধ থাকবে অর্থাৎ কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন-দুই দিকে কোনো গাড়ি আসা-যাওয়া করবে না। কাকরাইল চার্চ থেকে কাকরাইল মসজিদ অভিমুখে কোনো গাড়ি আসবে না। এ ছাড়া কার্পেট গলি, পরিবাগ গ্যাপ, শিল্পকলা একাডেমির গ্যাপ, মিন্টো রোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব মোড় বন্ধ থাকবে এবং এসব স্থান থেকে ভিআইপি রোডে কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না। সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোডে কোনো গাড়ি পার্কিং হবে না।

যেসব স্থানে পার্কিং করা হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সম্মুখের মাঠ সংলগ্ন সব এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তার পাশ (যাতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে), সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের গাড়ি সম্মেলনস্থলে স্থান সংকুলান করা যাবে না তাদের গাড়ি রমনা রেস্তোরাঁ এবং ঢাকা ক্লাবের মধ্যে পার্কিং করা হবে।

ঢাকা শহরে যানজট সহনশীল রাখা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদে অনুষ্ঠিত হওয়ার স্বার্থে নাগরিকদের পরামর্শগুলো প্রতিপালন এবং পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাগরিকদের সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। এ সাময়িক অসুবিধার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

আওয়ামী লীগের বিগত দিনের সম্মেলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

আওয়ামী লীগের গঠনন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, এ বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করতে হবে। নির্ধারিত মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাড়তি সময় নিয়ে সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে আজকের অবস্থানে আসা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে ১৯৫৩, ১৯৫৫, ১৯৫৭, ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৭, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০২, ২০০৯ এবং ২০১২ সালে।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, টাঙ্গাইলের শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক, কারাবন্দী শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক ও ইয়ার মোহাম্মদ খানকে কোষাধ্যক্ষ করে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ওই কমিটির সহসভাপতি আতাউর রহমান খান, সাখাওয়াত হোসেন, আলী আহমেদ, আলী আমজাদ খান অ্যাডভোকেট, আবদুস সালাম খান অ্যাডভোকেট, দুজন সহকারী সম্পাদক খন্দকার মোশতাক এবং এ কে এম রফিকুল হোসেন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক কিছু সময়ের জন্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাতবার, বঙ্গবন্ধু চারবার, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চারবার, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দুবার, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, মহিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন, আবদুল মালেক উকিল এবং সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একবার করে দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে বাকশালের চেয়ারম্যান ছিলেন। জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি ও আবদুর রাজ্জাক ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বঙ্গবন্ধু পাঁচবার, জিল্লুর রহমান চারবার, তাজউদ্দীন আহমদ তিনবার, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুবার, আবদুর রাজ্জাক দুবার, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুবার এবং শামসুল হক, আবদুল জলিল একবার।

(দ্য রিপার্ট/এমএ/এস/এম/অক্টোবর ২১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর