thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

সম্প্রীতির মা-বাবাকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে?

২০১৬ অক্টোবর ২২ ১৯:৪২:০০
সম্প্রীতির মা-বাবাকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে?

মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সড়কের এক কোনে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির নাম দেওয়া হয়েছে সম্প্রীতি। কেন এই নাম? এর উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি শিশু পরিবার কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা খাতুন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘যখন প্রথম সন্তানসম্ভবা হই, তখন থেকেই একটি কন্যাশিশুর আকাঙ্ক্ষা ছিল আমার। ভেবেছিলাম কন্যাসন্তান হলে নাম রাখব সম্প্রীতি। গত ১৪ অক্টোবর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈনুর রহমান রাস্তায় এক কোন থেকে কুড়িয়ে এনে শিশুটিকে আমার কাছে রেখে যান। ফুটফুটে এই শিশুটিকে কোলে পেয়েই নাম রেখেছি সম্প্রীতি।’

সম্প্রীতি মায়ের কোল পেলেও ৪ মাসের এ শিশুটি মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিশুর উপযোগী গুঁড়ো দুধ খেয়ে বেঁচে আছে সম্প্রীতি।

রওশন আরা জানান, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ সরকারি শিশু পরিবার কেন্দ্রে এসে সম্প্রীতিকে একনজর দেখার জন্যে ভিড় করছেন। অনেকে তাকে দত্তক নেওয়ার জন্যে আবেদন করছেন। সম্প্রীতিকে দত্তক নিতে দেশের অনেক ভিআইপি ও ভিভিআইপিরাও যোগাযোগ করছেন।

তবে কারা যোগাযোগ করছেন তাদের নাম প্রকাশ করেননি রওশন আরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ১৪ অক্টোবর শহরের কাজীপাড়ার মিয়ার সড়কের এক কোনে ৪ মাস বয়সী এই ফুটফুটে শিশুটিকে কাঁদতে দেখতে পেয়ে একজন আমাকে খবর দেয়। আমি শিশুটিকে কুড়িয়ে এনে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। পরে তাকে শিশু পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।

ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের জের ধরে কোনো দম্পতি হয়তো বা শিশুটিকে ফেলে গেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে এবং দেশের সকল থানায় এ বিষয়ে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক মুস্তফা মাহমুদ সারোয়ার জানান, শিশুটিকে সরকারি শিশু পরিবার কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা খাতুনের বাসায় রাখা হয়েছে। তিনি মাতৃস্নেহেই তাকে লালনপালন করছেন। আমরা তার অভিভাবকের খুঁজে পাওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা করছি। অপেক্ষার পরও যদি অভিভাবক না পাওয়া যায় তাহলে হয়তো শিশুটির ঠিকানা হবে চট্টগ্রামের ছোটমণি নিবাসে।

তবে তিনি আরো জানান, আমাদের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবীর দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আমাদের নির্দেশনা দেবেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়ার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান মুস্তফা মাহমুদ সারোয়ার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, শিশুটি অপহরণের শিকার হলো কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও শিশুটির পরিবারকে খুঁজে বের করতে এবং তাদের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দিতে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর পরও যদি তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারা যায় তাহলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এম/এস/অক্টোবর ২২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর