thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন

নতুন নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রত্যাশা বিএনপির

২০১৬ অক্টোবর ২৩ ২০:০৬:১২
নতুন নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রত্যাশা বিএনপির

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে গঠিত নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির নেতারা প্রত্যাশা করছেন যে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন চলছে অব্যাহতভাবে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। অথচ ক্ষমতাসীনদের সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা পোহাতে হয় না। বরং সরকার ও প্রশাসনের নিবিড় সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে প্রমাণিত হয় দেশে গণতন্ত্র কতটা নিয়ন্ত্রিত।

দুদিন ব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে রবিবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে শেখ হাসিনা পুনরায় আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। অন্যদিকে, ওবায়দুল কাদের দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া দলটির ২০তম সম্মেলনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ৪ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় সরকার ও পরিষদ মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য এবং সংসদীয় কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

এদিন বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচি-কাঁচা ভবন মিলনায়তনে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের ৭৫তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘আমি তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। একই সাথে এই প্রত্যাশা করছি, জাতির যে আশা, জাতির যে আকাঙ্খা-গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া, অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, এর জন্য তারা কাজ করবে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘এই সম্মেলনে (আ’লীগের ২০তম সম্মেলন) সেই মূল বিষয়টিই নেই। আজকে বাংলাদেশের প্রধান সংকট হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা কি করবেন, তারা তা বলেনি। মানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি করবেন, তা তারা বলেননি। যে ভোটের অধিকার তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন, সেই ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে কি করবেন তা তারা বলেননি।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেছেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কথা ভুলে যাইনি। সেখানে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ১৫৩ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হয়েছে। যে বিরোধী দল করা হয়েছে সেই বিরোধী দলকে কেউ গুরুত্ব তো দেয় না, সরকারও গুরুত্ব দেয় না। তাদের তিনজন সদস্য সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘আশা করি, আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব গণতন্ত্রের কথা বলবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা হচ্ছে গণতন্ত্র। আওয়ামী লীগ পুরোনো দল এবং এ দলের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। বর্তমানে অনেক ঘটতি আছে, সেটা পূরণ করতে হবে। দেশের সকল দলকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/জেডটি/অক্টোবর ২৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর