thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

‘মানবাধিকারের কথা বলার আগে গৃহকর্মীর খোঁজ নেন’

২০১৬ অক্টোবর ২৩ ২০:৫৮:৩৩
‘মানবাধিকারের কথা বলার আগে গৃহকর্মীর খোঁজ নেন’

রাজশাহী অফিস : মানবাধিকারকর্মীদের উদ্দেশে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘মানবাধিকারের কথা বলার আগে আপনারা আগে নিজের বাসার গৃহকর্মীর খোঁজ নেন। তারও মানবাধিকার আছে। সে মানবাধিকার যেন কোনোভাবেই লঙ্ঘিত না হয়। কোনো কোনো মানবাধিকারকর্মীর বাসাতেই গৃহকর্মীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তবে সব মানবাধিকারকর্মীর বাসাতে এমন ঘটে না।’

রবিবার দুপুরে রাজশাহীর হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনালের সম্মেলনকক্ষে ‘বিভাগীয় শিশু কল্যাণ পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে গত বছর একটি নীতিমালা প্রণয়ন হয়েছে। শিগগিরই এটিকে আইনে রূপান্তর করা হবে। একজন সরকারি কর্মকর্তার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলে, একজন শ্রমিক, গৃহকর্মীর কর্মঘণ্টাও ৮ ঘণ্টা। এর বেশি কাজ করালে তাদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ ছিল ৪৫ লাখ। শনিবার পর্যন্ত এ তহবিলে টাকা এসেছে ১৮৪ কোটি টাকা। ৭৯টি কোম্পানি তাদের মুনাফার অংশ থেকে এ টাকা জমা দিয়েছে। এ টাকা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যায় করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, লাভের একটা অংশ সরকারি কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়ার আইন আছে। অনেকেই এ আইন লঙ্ঘন করেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর টাকা জমা দেওয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিতে শুরু করেন। তাই টাকার অংক বেড়েছে। তহবিলে টাকা না দিলে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বার্ষিক নিরীক্ষার সময় যে কর্মকর্তা টাকা না দেওয়া কোম্পানির পক্ষে প্রতিবেদন দেবেন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খন্দকার মোস্তাক হোসাইন, কলকারখানা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমদ, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি এমরানুল হক চৌধুরী ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন প্রমূখ।

সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুনির হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধি সৈয়দা মুনিরা সুলতানা।

বক্তব্য শেষে প্রতিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে রিনা বেগম নামে এক নারী শ্রমিককে ৩০ হাজার, নুরুল ইসলাম নামে এক শ্রমিককে ২৫ হাজার ও সুমা খাতুন নামে কারখানায় আগুনে পুড়ে নিহত এক শ্রমিকের স্ত্রীকে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এম/অক্টোবর ২৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর