thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

সমন্বয় হয়নি বিডিবিএল’র অতিরিক্ত বিনিয়োগ

২০১৬ অক্টোবর ২৩ ২৩:১৪:১৬
সমন্বয় হয়নি বিডিবিএল’র অতিরিক্ত বিনিয়োগ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিডিবিএলসহ ১১টি ব্যাংককে বিনিয়োগ সমন্বয়ের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন না পাওয়ায় অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে পারেনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)। সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়িয়ে শেয়ারবাজারে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়িয়ে শেয়ারবাজারে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তার ঘোষণা দেওয়ার পর ১২টি ব্যাংক আবেদন করে। এগুলো হলো-পূবালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংক।

তবে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ থাকার পরও বিডিবিএল প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা নেওয়ার আবেদন করা থেকে বিরত থাকে। অবশ্য শেষ সময়ে এসে গত ২১ জুলাই নীতি সহায়তা নিতে আবেদন করে তারা। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ওই দিনই ছিল শেয়ারবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের শেষ দিন।

বিডিবিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের নীতি সহায়তা আবেদনটি অনুমোদনও দেওয়া হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিএসইসিতে আবেদন করে বিডিবিএল। তবে বিএসইতে বিডিবিএল’র আবেদনটি জমা পড়ে ২১ জুলাইয়ের পরে।

এতেই আটকে যায় নীতি সহায়তা নিয়ে বিডিবিএল’র বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ। বিএসইসিতে আবেদনের পর দুই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তা অনুমোদন করেনি বিএসইসি।

বিএসইসির অনুমোদন মিললে বিডিবিএল’র শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ২১ দশমিক ৭১ শতাংশে নেমে আসবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও ‍মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা নিয়ে যে কয়টি ব্যাংক বিএসইসিতে আবেদন করেছিল সেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর বিডিবিএলর আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন আছে।’

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ওই ব্যাংকের আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইল আর্নিংসের ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ এই সীমার বেশি, সেসব ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য গত ২১ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয় ব্যাংক কোম্পানি আইনে।

এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়বে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয় শেয়ারবাজরে। বিভিন্ন মহলের পাশাপাশি ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে সময় বাড়ানোর দাবি জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এমন পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি না করেই ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে নীতি সহায়তা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নীতি সহায়তা নিয়ে ১২টি ব্যাংক তাদের বিনিয়োগ নির্ধারীত সীমায় নিয়ে আসে।

নীতি সহায়তা নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বিনিয়োগ ২৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, পূবালী ব্যাংকের ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাস্টের ২৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ২৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দ্য সিটি ব্যাংকের ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২১ দশমিক ৩ শতাংশ, শাহজালাল ব্যাংকের ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং জনতা ব্যাংকের ২৩ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমে এসেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএস/জেডটি/এনআই/অক্টোবর ২৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর