নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৪ অক্টোবর) গণভবনে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি।

টানা অষ্টমবারের মতো দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলের সদ্য সমাপ্ত জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীতে অবস্থানরত হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাকে অভিনন্দন জানাতে সোমবার বিকেলে গণভবনে হাজির হয়।

দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা বিকেল ৪টায় ফুলের তোড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের প্রধান ফটকে সমবেত হয়। পুনরায় দলের সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ায় তারা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানায়।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করার এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।

জনগণের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণে তার সরকারের বাস্তবায়িত কর্মকান্ডের তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি জনগণের ভোট চাই তাহলে আমরা তাদের জন্য যা করেছি তা সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বুঝাতে হবে একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষেই দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব। আমাদের হাতে আর দুই বছর দুই মাস সময় রয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাই এই সময়কে সর্বাত্মকভাবে ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা কথা দিয়ে কথা রাখে। আওয়ামী লীগ তা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।’
দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেতাকর্মীদের গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের কল্যাণে কাজ করা, যাতে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।’

দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে তার সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তারা দারিদ্র্য বিমোচনের নামে শুধু গরিব মানুষের রক্ত শোষণ করেন।’

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখতে দেশের সকল মসজিদ-মাদ্রাসার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমাদের সমস্যা আমরা নিজস্ব পথে সমাধান করছি। এ সমস্যা সমাধানে আমরা অন্যদের ওপর নির্ভর করব না। ইসলাম সন্ত্রাস নয়, শান্তির ধর্ম। যারা ইসলামের নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তারা আসলে ইসলামের ক্ষতি করছে এবং ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’

শেখ হাসিনা স্ব-স্ব এলাকায় গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে সাথে নিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সূত্র : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/অক্টোবর ২৪, ২০১৬)