thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কোস্টাল শিপিং চুক্তিতে এমওইউ চূড়ান্ত

২০১৬ অক্টোবর ২৫ ১৫:০১:৫২
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কোস্টাল শিপিং চুক্তিতে এমওইউ চূড়ান্ত

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট (উপকূলীয় জাহাজ চালাচল চুক্তি) করতে দু’দেশের নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নৌ-সচিব অশোক মাধব রায়। শ্রীলঙ্কার পক্ষে নেতৃত্ব দেন বন্দর ও নৌ-সচিব এল পি জায়ামপাথি।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে নৌপরিবহন সচিব আশোক মাধব রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে আমরা চুক্তির জন্য সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খসড়াটি চূড়ান্ত করব। খসড়া চূড়ান্ত করার পর দু’দেশের রাষ্ট্র প্রধানের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এমওইউ’র পর আমরা এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসেডিউর) স্বাক্ষরিত হবে। কি পদ্ধতিতে জাহাজ দু’দেশের মধ্যে যাওয়া-আসা করবে তা এতে (এসওপি) থাকবে।’

চুক্তির পর দু’দেশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে কার্গো জাহাজ দিয়ে যাতায়াত শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে যাত্রীবাহী জাহাজ যাতায়াত করবে বলেও জানান সচিব।

বৈঠকের শুরুতে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘এ চুক্তি (কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট) হলে আমরা অনেক দিক থেকে সুবিধা পাব। নৌ বাণিজ্যখাতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। দু’দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে ও সময় সাশ্রয় হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সাথে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট হলে শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলোতে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ বিশেষ সুবিধা পাবে। আমাদের জাহাজগুলোকে তারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে বার্থিং সুবিধা দেবে। আমরা ট্যারিফ কনসেশন পাব।’

‘চুক্তি হলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও সিলন শিপিং করপোরেশনের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এতে আমাদের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও ক্রুদের জন্য শ্রীলঙ্কার জাহাজগুলোতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’

শাজাহান খান বলেন, ‘বাংলাদেশের নাবিকদের ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রেও তারা (শ্রীলঙ্কা) প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।’

‘শ্রীলঙ্কার সাথে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হলে জাহাজযোগে পণ্য পরিবহনে খরচ কমে যাবে। শ্রীলঙ্কার সাথে নৌ কানেকটিভিটি বৃদ্ধি পেলে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাও বাড়বে’ বলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী।

কলম্বো ও হাম্বানতোতা দুটি বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রেই আমরা সুবিধা পাব জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক জাহাজ যেগুলো সিঙ্গাপুর হয়ে আসে, এতে সময়ও বেশি লাগে, খরচও বেশি লাগে। এদিক থেকে আমরা কিছুটা সুবিধা পাব।’

চুক্তিটি করে হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দু’দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হবে। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।’

সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ দলে রয়েছেন মংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজউদ্দীন আহমেদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুনির চৌধুরী, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম হাবিবুর রহমান ভূইয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. দেলোয়ার হায়দার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) মো. মনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মো. সাইদুর রহমান, নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মোহাম্মদ নিয়াজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা দলে রয়েছেন সেদেশের মার্চেন্ট শিপিং সচিবালয়ের মহাপরিচালক অজিত সেনাভিরত্নে, পোর্ট অথরিটিরি চেয়ারম্যান দাম্মিকা রানাতুঙ্গা, সিলন শিপিং করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান শশি ধানাতুঙ্গে ও পোর্ট অথরিটিরি চিফ ম্যানেজার উপল জয়াটিসা।

এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দলটি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এআরই/অক্টোবর ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর