thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

ফুটপাতের বই থেকে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন : শিক্ষামন্ত্রী

২০১৬ অক্টোবর ২৬ ১৫:০২:১৮
ফুটপাতের বই থেকে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন : শিক্ষামন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শিক্ষার্থী বাছাইয়ে ফুটপাত থেকে অখ্যাত লেখকদের বই কিনে তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সচিবালয়ে বুধবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হচ্ছে। এতে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন জেএসসি দিচ্ছে, আর আগে পিএসসি দিয়েছে। এসএসসি দিচ্ছে, এইচএসসি দিচ্ছে, কত ঘণ্টা পরীক্ষা দিচ্ছে, যেভাবে হয় তাকে শিখতে হবে। আধুনিক যুগে এসে আপনা-আপনি অনেক জ্ঞান অর্জন করে ফেলছে। তাই আমাদের ছেলেমেয়েদের গুণগত মান বাড়ছে না যারা বলেন, তারা মোটেই সঠিক কথা বলেন না।’

‘বাড়ছে (শিক্ষার মান) তবে যা বাড়া উচিত যা করা উচিত তার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একটি সিটের বিপরীতে ৪০ জন আবেদন করেছে। ওখানে পাস ফেলের ব্যাপার নাই। এক ঘণ্টায় তারা একটা বাছাই করছেন কি করে ৩৯ জনকে বাদ দেওয়া যায়। ৩৯ জনকে বাদ দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘গত বছরের আগের বছর বলেছিলেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) ইংরেজিতে শুধু ৩ জন ভর্তি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা সব আসনই পূর্ণ করেছেন। আমাদের এসএসসি ও এইচএসসিতে যে হারে জিপিএ-৫ পায় তার চেয়ে বেশি ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে যাচ্ছে ওই সব ছেলেমেয়েরা তারা যাদের বলছেন ফেল।’

‘এটা পাস ফেলের প্রশ্ন নয়, এটা বাছাইয়ের প্রশ্ন।’

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘একজন শিক্ষক বলেছেন, নীলক্ষেতের ফুটপাতে অনেক বই বিক্রি হয়- গান, জারি, নাচ, ছড়া, কবিতা নানান ধরণের বই। তারা নিজেরাও দেখেন না এসব বই, ওইসব জায়গা থেকে তারা কয়েকটি তুলে নিয়ে আসেন। এনে প্রশ্নের মধ্যে তুলে দেন ওই বইয়ের লেখক কে? তারাও জানেন না। কেন দেন? তাদের তো উদ্দেশ্য পাস ফেল না। উদ্দেশ্য হল ৩৯ জনকে বাদ দেওয়া এবং একজনকে রাখা। সেই হিসেবে এটা পাস ফেলের প্রশ্ন নয়, এতে বিভ্রান্তি হচ্ছে।’

ঢাবি ফেল করাদের পরে ভর্তি করে এক বছর পরই তারা কি করে ফার্স্ট ক্লাস মার্ক পাচ্ছে- সেই প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা কি করে সম্ভব। এটা আমাদের ছেলেমেয়েদের হতাশ করে। ভুল ম্যাসেজ চলে যায় সবার কাছে। আন্তর্জাতিকভাবেও আমরা হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। আমাদের পরীক্ষার উপর অন্যদের আস্থা কমে যাবে।’

‘বিষয়টি সঠিক নয় এটি একটি বাছাই পরীক্ষা। আমি ৯৯ পেলাম, নেবে একজন, দেখা গেল আরেক জন ১০০ পেয়ে গেল। তবে কি আমি ফেল, আমি তো ফেল না। যে বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেখানে টিকেছে বা টিকে নাই’ বলেন মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা নিশ্চিতই বলতে পারি, সার্বিক ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।’

সভায় শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এআরই/অক্টোবর ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর