thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

প্রধানমন্ত্রী মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল খুলে দেবেন বৃহস্পতিবার

২০১৬ অক্টোবর ২৬ ১৮:৩৩:৩৪
প্রধানমন্ত্রী মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল খুলে দেবেন বৃহস্পতিবার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেবেন বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর)। একই সঙ্গে তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেখানে নবনির্মিত ১১টি ড্রেজারও (নদী খনন যন্ত্র) উদ্বোধন করবেন।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গণভবনে এবং সচিব অশোক মাধব রায় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বাগেরহাট প্রান্তে উপস্থিত থাকবেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-পথটি পুনঃখননের পর ২০১৫ সালের মে মাসেই ছোট আকারের জাহাজ চলাচলের জন্য পরীক্ষামূলভাবে খুলে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন গভীরতায় মোট ৩৫ হাজার ১৫টি জাহাজ এ নৌপথে চলাচল করেছে। নৌ-পথটি ১৩ থেকে ১৪ ফুট গভীর ও ২০০ থেকে ৩০০ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-পথের দুরত্ব ৩১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৬ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। ড্রেজারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৮১ দশমিক ৮০ লাখ ঘনমিটার খনন শেষ হয়েছে।

খনন করা অংশে পলি ভরাটের কারণে সংরক্ষণ খননের (মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং) আওতায় সর্বমোট ৬২ দশমিক ১২ লাখ ঘনমিটার পুনঃখনন করা হয়েছে। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র তিনটি ড্রেজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি ড্রেজার সংরক্ষণমূলক খননেন কাজ করছে।

নৌ-পথটি চালুর কারণে ৮৬ কিলোমিটার দুরুত্ব কমেছে। সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা মালামাল মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে পরিবহন করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল রুটের নৌযান চলাচলের জন্য এ চ্যানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৮০ সালের দিকে মংলা-ঘষিয়াখালী সংযুক্ত খালগুলোর মুখ বন্ধ করে চিংড়ি চাষ শুরু হয়। ২০১০ সালে চ্যানেলটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। নৌ-পথটি বন্ধ হওয়ার পর সুন্দরবনের ভেতরে নৌ-পথ দিয়ে নৌযান চলাচল করতে থাকে। এতে সুন্দরবনের পরিবেশ সংকটাপন্ন হতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৪ সালের জুলাই থেকে নৌ-পথটি খনন শুরু করা হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, দু’টি প্রকল্পের অধীনে দেশীয় ড্রেজার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভোস্তা এলএমজি-কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড এবং আনন্দ শিপইয়ার্ডস লিমিটেড দ্বিতীয় দফায় মোট ১১টি ড্রেজার নির্মাণ করেছে।

বৃহস্পতিবার সেগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। সরকারের বর্তমান মেয়াদে আরও ২০টি ড্রেজার নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এসএস/জেডটি/অক্টোবর ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর