thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

শততম টেস্ট খেলতে চান মুশফিক

২০১৬ অক্টোবর ২৭ ১৩:১৫:১৩
শততম টেস্ট খেলতে চান মুশফিক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, দাঁড়িয়ে আছেন ৫০তম টেস্ট ম্যাচের সামনে। বাংলাদেশের ক্রিকেটার হিসেবে অন্যতম এক মাইফলকই বলতে হবে। কেননা এর আগে মাত্র আর দুজন ব্যাটসম্যানের এ কৃতিত্ব আছে। এরা হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল এবং হাবিবুল বাশার। আশরাফুল ৬১টি এবং হাবিবুল ৫০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এবার এ মাইলফলকে পা রাখতে যাচ্ছেন মুশফিকও। তবে মুশফিক ৫০ টেস্টে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। তিনি ১০০ তম টেস্ট খেলতে চান। এরপর অবসর নেওয়ার চিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন মুশফিক।

মুশফিক নিজেও বেশ রোমাঞ্চিত ৫০তম টেস্ট নিয়ে। তবে নিজের অর্জনের চেয়ে তিনি দলের প্রয়োজনটাই বেশি বড় করে দেখছেন। দলে অবদান রাখতে পারাটাই তার মূল লক্ষ্য। তবে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০ টেস্টে খেলার অর্জনটাকেও মোটেও ছোট করে দেখছেন না তিনি।

যেখানে বাংলাদেশের ভাগ্যে এক বছরে হাতেগোনা দুটি-তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগ মেলে। সেখানে তিনি ৫০তম টেস্টের সামনে দাঁড়িয়ে, এটাই বা কম কিসের। অনেক বড় মাইলস্টোন হিসেবেই মানছেন তিনি এটাকে। আর দলকে যদি জেতাতে পারেন, তাহলে নিজের অর্জনের ম্যাচে হয়তো দলের অর্জনেও তার নাম লেখা হয়ে যেতে পারে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামবে মুশফিকবাহিনী। এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের।

এখন একটু পেছনে ফিরে দেখা যাক। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সফরে জায়গা হয়েছিল তরুণ এক ক্রিকেটারের। ১৮ বছর তখনো হয়নি। ওই সফরের প্রস্তুতি ম্যাচে জায়গা না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সাসেক্সের বিপক্ষে হোভে তিনি খেলেন ১৮ ও ৬৩ রানের চমৎকার ইনিংস। পরের ম্যাচে আরও দুরন্ত তিনি। নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানে। এমন পারফরম্যান্সের পর সেই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে হইচই পড়ে যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। সেই ব্যাটসম্যানই ছিলেন আজকের বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিক।

এই পারফরম্যান্সের পর দলে জায়গা পাওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। হলোও তাই। ক্রিকেটের তীর্থ লর্ডসে টেস্ট ক্যাপ পান মুশফিক। তখন তার বয়স মাত্র ১৭ বছর ৩৫১ দিন। যা লর্ডসের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অভিষেক ছিল। আর সেই রেকর্ডটি এখনো অক্ষুণ্নই আছে।

সেদিনের সদ্য কৈশোর পেরোনো মুশফিক আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। যার পরে পেরিয়ে গেছে প্রায় এক যুগ। যে সারল্য নিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন তা এখনো রয়েছে একসময়ের ‘বেবিফেস’ নামে অ্যাখ্যা পাওয়া মুশফিকের। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে তার দায়িত্ব। হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ দলের এক নির্ভরতার প্রতীক।

যদিও মুশফিকের এ দীর্ঘ পথ চলাটা মোটেও মসৃণ ছিল না। অভিষেক ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে সাফল্য পাননি তিনি। ১৯ ও ৩ রান করে হারিয়েছিলেন দলের জায়গা। তারপর পরের বছর সুযোগ পেলেও মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজ শহর বগুরায় মাত্র ২০ ও ০ রানের পারফর্মে আবার বাদ পড়েন দল থেকে।

এই চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়েই ১৬ মাস পর মুশফিক আবার সুযোগ পান নিজেকে প্রমাণ করার। শ্রীলঙ্কার ওই সফরে প্রথম টেস্টে দলের একাদশের বাইরেই ছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে দলে জায়গা মিলল উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। খালেদ মাসুদের ফর্মহীনতায় সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেবারই প্রথম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামা তার। তবে ওই ম্যাচে আর তিনি হতাশ করেননি কাউকে। ৮০ রানের দুরন্ত এক ইনিংস খেলে নিজের প্রতিভার জানান দেন। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

২০০৭ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশের হয়ে টানা ৪৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ‍মুশফিক। চলতি বছর দুটি টেস্ট খেলেই বাংলাদেশের সামনে আর কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই। তবে সামনের বছরের টেস্টগুলোও নিশ্চয়ই এমন ধারাবাহিকভাবেই খেলে যেতে পারবেন মুশফিক। তাহলে হয়তো ছাড়িয়ে যেতে পারবেন আশরাফুলকেও।

(দ্য রিপোর্ট/এনপিএস/এনআই/এম/অক্টোবর ২৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর