thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

পরিচালকেরা মালিকানা কমিয়ে আনছেন

সাইফ পাওয়ারটেকের প্রথমবারের মতো নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

২০১৬ অক্টোবর ২৭ ১৪:৪১:০৭
সাইফ পাওয়ারটেকের প্রথমবারের মতো নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

রেজোয়ান আহমেদ, দ্য রিপোর্ট : প্রথমবারের মতো নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ব্যবসায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২৭ শতাংশ বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে আসার আগে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৪ সালে তালিকাভুক্তির পর থেকেই শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার প্রদানে কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত (ডিভিডেন্ড পে-আইট রেশিও) শূন্য ছিল। তবে সর্বশেষ অর্থবছরের ব্যবসায় ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করলে সে চিত্র পাল্টে যাবে। একইসঙ্গে কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত হবে ১১.৪২ শতাংশ।

এদিকে সাইফ পাওয়ারটেক আইপিও’র আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে ১০ শতাংশ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। কিন্তু শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের পরেই ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২৭ শতাংশ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৯ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদান করেছে। এর পেছনে অবশ্য উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার বিক্রয় করার উদ্দেশ্য ছিল। কারন ওই সময় আইপিও পূর্ব শেয়ার বিক্রয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বোনাস শেয়ারে তা ছিল না।

যাতে কোম্পানিটির পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন ৯ লাখ ও তরফদার নিগার সুলতানা ৬ লাখ বোনাস শেয়ার বিক্রয় করেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ার প্রায় ৭০ টাকা দরে বিক্রয় করে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা তুলে নেন।

কোম্পানিটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৪.৩৮ টাকা। এর বিপরীতে মোট ৩২ শতাংশ বা প্রতিটি শেয়ারে ৩.২ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ হিসাবে মুনাফার ৭৩.০৬ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। আর বাকি ২৬.৯৪ শতাংশ বা প্রতিটি শেয়ারে ১.১৮ টাকা কোম্পানির রিজার্ভে যোগ হবে। ২০১৬ সালের ৩০ জুনে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩.২২ টাকা।

এদিকে সাইফ পাওয়ারটেক রাইট শেয়ার ইস্যু নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি ১টি সাধারণ শেয়ার বিপরীতে ২টি রাইট শেয়ার ইস্যুর পরিবর্তে ১টি ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ১০ টাকা প্রিমিয়ামের পরিবর্তে ৫টাকাসহ মোট ১৫ টাকা মূল্যে প্রতিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়। তবে কোম্পানিটি আইপিওতে ৩০ টাকা করে সংগ্রহ করেছিল।

দেখা গেছে, কোম্পানিটি আইপিওতে ৩০ টাকা মূল্যে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৩৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ নতুন ব্যাটারি তৈরি প্রকল্পে ব্যয় করতে ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অনুমোদন পায়। যা ১৫ মাসের মধ্যে ব্যবহার করার কথা। তবে কোম্পানিটি সেই টাকা ব্যবহার না করতেই এক মাসের মাথায় ২৮ অক্টোবর ২৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিল।

এদিকে কোম্পানির উন্নতির জন্য শেয়ারবাজারে আসলেও সাইফ পাওয়ারটেক কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে তাদের মালিকানা কমিয়ে নিচ্ছেন। দেখা গেছে, আইপিওতে টাকা উত্তোলনের পরে উদ্যোক্তাদের শেয়ার ধারন ছিল ৪৫.৪৫ শতাংশ। কিন্তু ২০১৫ সালের ৩০ জুন কমে হয় ৪৩.৩৩ শতাংশ ও ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে আরো কমে হয়েছে ৪০.০৬ শতাংশ।

কোম্পানির ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য আলোচ্য বিষয় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আর্মি গলফ ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ অক্টোবর) লেনদেন শেষে সাইফ পাওয়ারটেকের শেয়ার দর ৫৬.৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/অক্টোবর ২৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর