thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৭ শাওয়াল 1445

আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন

কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদের অভিবাদন

২০১৬ অক্টোবর ২৭ ২৩:০৯:১৭
কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদের অভিবাদন

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিস্বরূপ দলকে আরও শক্তিশালী করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সে লক্ষ্যেই এবারের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ২০তম সম্মেলনের পূর্বাপর বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কোনো নেতার পদোন্নতি হয়েছে, কারও অবনতি হয়েছে। এ সকল সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলে জনমত তৈরি করে জনগণের সিদ্ধান্তে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছবে। এমনটাই বলেছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা-প্রাপ্তির বোঝাপড়া নিয়ে দলের মধ্যে কোনোরকম অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। এটাই আওয়ামী লীগের চিত্র-চরিত্র।

কাউন্সিলর ও নীতিনির্ধারকের বিবেচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদায়ী কার্যনির্বাহী সংসদের সম্পাদকমণ্ডলীর ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা থেকে নতুন কমিটিতে বাদ পড়েছেন। প্রেসিডিয়াম পদে বাদ পড়েছেন নূহ-উল আলম লেনিন। অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক আ হ ম মুস্তফা কামালের জায়গায় এসেছেন টিপু মুন্সী এমপি। সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে আসাদুজ্জামান নূরের স্থলে এসেছেন সাবেক ছাত্রনেতা অসীম কুমার উকিল। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। এ পদে গত তিন কমিটিতে ছিলেন ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদে ফরিদুন্নাহার লাইলীর স্থলে এবার আনা হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুজিত রায় নন্দীকে। বিদায়ী কমিটিতে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা-বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন, ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু। এ পদে নতুন কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডা. রোকেয়া সুলতানাকে।

এ বিষয়ে দলের বর্তমান প্রেসিডিয়াম মেম্বার লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এবারের কমিটি গঠনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা সম্পর্কে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘যারা সরকারে থাকবে তারা দলে কোনো বড় পদে থাকবে না। আর যারা দলের বড় পদে থাকবে তারা সরকার পরিচালনায় থাকবে না। নতুন কমিটি কিছুলক্ষ্যে নিয়ে কাজ শুরু করছে। আশা করছি আগামী কয়েক বছরে সেই লক্ষ্যগুলো অর্জন হবে।’

ফারুক খানের বক্তব্যের কিঞ্চিত পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দলের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা সদস্যরা তার সম্পূর্ণ সময় দলকে দেবে। মন্ত্রীদের দেশের জন্য অনেক কাজ করতে হয়। তাই যতটা সম্ভব মন্ত্রীদের দলে কম রাখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়ামের বাইরে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের একজনও মন্ত্রিসভায় নেই। আমাদের জানামতে, এ সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার সঙ্গে অভিবাদন জানিয়েছেন তারা। আর এতে করে আওয়ামী লীগ নেতাদের চিত্র-চরিত্র স্পষ্ট হয়।’

এ বিষয়ে ২০তম সম্মেলনে বাদ পড়া আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার প্রবীণ রাজনীতিক নূহ-উল আলম লেনিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘দলীয় স্বার্থে দলের নীতিনির্ধারকরা যা সঠিক মনে করেন তাকে মেনে নেওয়া উচিত। আর আমার ক্ষেত্রে আমি যা বলব তা হলো আমি কোনো দিন পদের জন্য রাজনীতি করিনি। সুতরাং দলে আমার ন্যূনতম কোনো পদ না থাকলেও আমি দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হয়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাব।’

সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘বাদ পড়েছি বিষয়টা এমন নয়। তাছাড়া দলের প্রয়োজনে বাদ পড়লেই বা কি? সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাকে তো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে আমার কোনো বিরূপ মন্তব্য নেই। দলের প্রয়োজনে সকল সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েই আমরা রাজনীতি করি।’

অন্যদের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতিনীর্ধারক পর্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম ও ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এম/এস/এনআই/অক্টোবর ২৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর