thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

ডিএসই’র লেনদেন আবারো ৩শ কোটির ঘরে

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১৮:৩৬:৪৯
ডিএসই’র লেনদেন আবারো ৩শ কোটির ঘরে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মূল্য সূচকের পাশাপাশি দেশের উভয় পুঁজিবাজারে কমছে টাকার পরিমাণে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ। মাত্র ২৮ কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসই’র লেনদেন ৩’শ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। মূলত: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হওয়ার কারণে লেনদেন কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিস্টরা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রবিবার ডিএসইতে ৩৯০ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি চলতি বছরের সর্বোচ্চ অর্থাৎ ৮৫৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরপর থেকে থেমে থেমে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয়েছে ৬৯৭ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট, ৩ ফেব্রুয়ারি ৮০৪ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি ৭৭১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি ৬২০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি ৭৭০ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি ৬৯৫ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ৬০৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ১১ ফেব্রুয়ারি ৪৯০ কোটি ৫৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ১২ ফেব্রুয়ারি ৫৭২ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

রবিবার ডিএসইতে অধিকাংশ খাতের শেয়ার লেনদেন কমেছে। গত বৃহস্পতিবার ডিএসই’র লেনদেনে বিমা খাতের অবদান ১৩.৩৮ শতাংশ হলেও রবিবার তা কমে ১১.৯১ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার বস্ত্র খাতের অবদান ৭.৮ শতাংশ হলেও রবিবার তা কমে ৬.২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের অবদান ৫.৮৮ থেকে ৫.৫৪ শতাংশে, বিবিধ খাতের ৩.৪৬ থেকে ২.৪৬ শতাংশে, আর্থিক খাতের ৪.৭০ থেকে ৪.৪৭ শতাংশে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের ১৭.৪৪ থেকে ১৬.৪৭ শতাংশে, সেবা ও আবাসন খাতের ০.৪৭ থেকে ০.৩৬ শতাংশে, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ২.৫ থেকে ২.১৬ শতাংশে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১.২২ থেকে ২.১৬ শতাংশে, প্রকৌশল খাতের ৯.৪২ থেকে ৮.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বাজারে পুনরায় ধীর গতির পেছনে কি কারণ থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ দ্য রিপোর্টকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এখন মূল্য সংশোধন হচ্ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনেকে মুনাফা তুলে এখন বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। এ কারণে সূচক ও লেনদেন কমেছে। এটা খারাপ কিছু না, আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এদিকে, বরাবরের মতো রবিবারও স্বল্প মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এর মধ্যে জেমিনী সী ফুড, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, স্টান্ডার্ড সিরামিক, ইমাম বাটন, উসমানিয়া গ্লাস, জেএমআই সিরিঞ্জ, ফাইন ফুডস, জুট স্পিনার্সসহ আরও অনেক স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের অধিকাংশ কোম্পানিই খারাপ। তাই বিনিয়োগকারীদের অনেকে মুনাফার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে অপেক্ষা না করে স্বল্প মৌলভিত্তির কোম্পানিতে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন। যে কারণে স্বল্প মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে বেশি উত্থান পতন হয়।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএন/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর