thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

প্রথমবারের মতো ২ কোটি ছাড়িয়েছে ডিআরইউ’র আয়

২০১৬ ডিসেম্বর ০১ ২৩:০৫:২০
প্রথমবারের মতো ২ কোটি ছাড়িয়েছে ডিআরইউ’র আয়

ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রথমবারের মতো দুই কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। সংগঠনটির ২০১৬ সালের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর শেষ হওয়া হিসাব বছরে সংগঠনটির আয় হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। যার পরিমাণ আগের বছর ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ২৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকার বা ১৩.৬২ শতাংশ।

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়, পেশাগত মান উন্নয়ন, সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে ডিআরইউ। এ ছাড়াও ডিআরইউতে সদস্যদের স্বল্পমূল্যে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এ খাতে প্রতি বছরই বড় ধরনের ভর্তুকি দিতে হয় সংগঠনটিকে।

সংগঠনের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে— হল ভাড়া, ক্যাফে খাবার বিক্রয়, বিজ্ঞাপন, অনুদান ইত্যাদি।

আর্থিক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৬ সালে ডিআরইউ অনুদান থেকে ৯৭ লাখ ৮ হাজার টাকা, হল ভাড়া থেকে ৪০ লাখ ৬২ হাজার টাকা ও বিজ্ঞাপন থেকে ৩২ লাখ ৯১ হাজার টাকা আয় করেছে।

অনুদানবাবদ প্রাপ্ত ৯৭ লাখ ৮ হাজার টাকার মধ্যে খেলাধুলার জন্য ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, পিকনিকের জন্য ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের জন্য ১৪ লাখ টাকা, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য ৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা ও বাংলা নববর্ষের জন্য ৮ লাখ ১ হাজার টাকা পেয়েছে।

তবে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ বা ১৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা কমিশন বাবদ ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে ডিআরইউ পিকনিক উপলক্ষে ১৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয় করেছে।

সব মিলিয়ে আয়ের বিপরীতে ২০১৬ সালে ডিআরইউ’র ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। ফলে ব্যয়ের চেয়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বেশি আয় হয়েছে। আগের বছরে এ ব্যয় ছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ ১১ হাজার টাকা ও মুনাফা ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

আগের বছরের ন্যায় ২০১৬ সালেও সদস্যদের দুপুরের খাবার বা আপ্যায়নে ৫৪ শতাংশ ভর্তুকি দিয়েছে ডিআরইউ।

ডিআরইউ’র ক্যান্টিনে দুপুরে ডিমের তরকারির সঙ্গে ডাল ও ভাতের দাম ১০ টাকা। মাছ, মাছ ও ভাত ১৫ টাকা। এ ছাড়া মাংস, ডাল ও ভাত ২৫ টাকা। বিভিন্ন রকমের ভর্তা বা ভাজি মাত্র ১০ টাকা। কেবলমাত্র সদস্যরাই এই দামে দুপুরে খেতে পারেন।

ডিআরইউ’র আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, খাবার বিক্রয় থেকে ২০১৬ সালে সংগঠনটি আয় করেছে ১৯ লাখ ৩ হাজার টাকা। এই খাবারের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২০১৬ সালে ডিআরইউ তার সদস্যদের খাওয়ার পেছনে ২২ লাখ ১৪ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। ভর্তুকি দেওয়ার এ হার ৫৩.৭৮ শতাংশ।

২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর ডিআরইউ’র নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকায়। এরমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ হিসাবে ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, অগ্রিম বীমা বাবদ ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা, মাসিক বেনিফিট ডিপোজিট স্কিমে ৫৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা, ব্যাংকে ১৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ও নগদ ২৭ হাজার টাকা রয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি সম্পদের মধ্যে ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ভবন রয়েছে। এ ছাড়া ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র, ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকার কম্পিউটার, ২ লাখ ৪ হাজার টাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ইলেকট্রিক্যাল ইক্যুইপমেন্টসহ মোট ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে।

বছরের ব্যবধানে স্টাফদের পেছনে ডিআরইউ’র ৭ লাথ ৮৩ হাজার বা ৩৪ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। ২০১৫ সালে ডিআরইউ’র বেতন বাবদ ব্যয় হয় ২৩ লাখ ৪ হাজার টাকা, যা ২০১৬ সালে বেড়ে হয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

ডিআরইউ’র ৩টি ভবন রয়েছে। তবে নিজস্ব জমিবাবদ কোনো সম্পত্তি নেই।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এস/জেডটি/এনআই/ডিসেম্বর ০১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর