thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

আন্দোলন চলবে

আরও ৮ দাবি টিভি শিল্পী-কলাকুশলীদের

২০১৬ ডিসেম্বর ০৪ ১৪:৩৯:০৫
আরও ৮ দাবি টিভি শিল্পী-কলাকুশলীদের

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগের ৫ দফা দাবির সঙ্গে নতুন করে আরও আট দফা দাবি যোগ করে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনাল অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। একই সঙ্গে এফটিপিও’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন মিডিয়া ইউনিটির আন্দোলনের সঙ্গে তাদের আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে রবিবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টেলিভিশন শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংগঠন এফটিপিও’র আহ্বায়ক নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।

এ সময় মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন যে মিডিয়া ইউনিটির আন্দোলন স্থগিত হয়েছে। এবার এফটিপিও’র চলমান আন্দোলনও স্থগিত হয়ে যাবে। এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এফটিপিও সম্পূর্ণ আলাদা সংগঠন। শিল্পী-কলাকুশলীদের অধিকার নিয়ে এফটিপিও’র আন্দোলন দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।’

এফটিপিও’র ৫ দফা দাবির একটি সরকার মেনে নিয়েছে উল্লেখ করে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে ৫ম দাবিটি ছিল ডাউনলিংক ফিড/চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে। সরকার এ দাবি মেনে নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের বাকি দাবিগুলো টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং সরকারকে মেনে নিতে হবে। নয়তো এ আন্দোলন চলবে।’

এ সময় এফটিপিও’র পক্ষ থেকে আরও নতুন ৭টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- বিজ্ঞাপন প্রচারে সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। নাটকের বাজেট যৌক্তিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। কপি রাইট প্রথা বহাল করতে হবে। যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রিভিউ কমিটি থাকতে হবে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, নির্ভুল, যথাযথ টিআরপি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেল চালু করতে হবে এবং তাদের চ্যানেল ডাউনলিংক ফি এর সাথে আমাদের চ্যানেল ডাউনলিংকের যে অসম ফি আছে তা অপসারণ করতে হবে। এফটিপিওকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কোনো নাটক বা অনুষ্ঠান নির্মাণে অবশ্যই শিল্পী কলাকুশলীদের এফটিপিও’র সংশ্লিষ্ট সংগঠনের তালিকাভুক্ত সদস্য হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের আগের ৫টি দাবির সঙ্গে বেশিরভাগ বেসরকারি টিভি চ্যানেল সংহতি জানিয়েছে। তবে দীপ্ত টিভি এবং এসএ টিভি এখনো সংহতি জানায়নি। আমরা আশা করব সকল চ্যানেল আমাদের দাবি মেনে নেবে। আমরা দর্শককে ভালো মানের অনুষ্ঠান দেখাতে চাই। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন কিছু যেন আমাদের টিভি চ্যানেলে প্রচার না হয়।’

এফটিপিও’র সদস্য সচিব ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত বলেন, ‘টিভি চ্যানেল যদি নিজস্ব ঐতিহ্য-সংস্কৃতি থেকে সরে যায় তবে পুরো জাতি ধ্বংস হয়ে যায়। পাঁচ বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ সবাই টেলিভিশনের দর্শক। তাদের রুচি এবং দেশীয় সংস্কৃতির কথা বিবেচনা করে টিভি অনুষ্ঠান প্রচার হওয়া উচিত। এখন টিভিতে অ্যাডাল্ট অনুষ্ঠান দেখালে দর্শক ভিউয়ার বাড়বে। এখন জনপ্রিয় হলেই কি সব অনুষ্ঠান দেখাতে হবে? বাণিজ্যের পাশাপাশি নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিও দায়বদ্ধ থাকতে হবে।’

লিখিত বক্তব্যে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য- দর্শকদের মানসম্মত অনুষ্ঠান উপহার দেওয়া এবং লাগামহীনভাবে বিজ্ঞাপনের অত্যাচার থেকে সম্মানীত দর্শকদের রক্ষা করা।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার পাঠান, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিক, অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচীসহ অনেকে।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/এস/এআরই/এইচ/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর