thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী ৩,৯২২ জন

২০১৬ ডিসেম্বর ০৭ ১৯:৪৯:৩৪
দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী ৩,৯২২ জন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৭২১। এর মধ্যে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৯৯ জন। ফলে জীবিত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯২২ জন। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে অভিবাসী শিরায় মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান তিনি।

১০ম জাতীয় সংসদে বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব তথ্য জানান।

এস এম মোস্তফা রশিদীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎপাদিক ওষুধ আন্তর্জাতিক মানের হওয়া তা ১২৫টি দেশে রফতানি হচ্ছে। তবে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্য নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে। এদের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। ইতোমধ্যে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে ৮৬টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও ১৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।’

বেসরকারি প্যাথলজি ফি নির্ধারণ পরিকল্পনা

চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ১৯৮৪ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এ অধ্যাদেশটি বাতিল করে একটি হালনাগাদ আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনের অধিনে প্রণীত বিধি দ্বারা দেশে ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর সকল প্রকার প্যাথলজি টেস্টেও ফি নির্ধারণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

মানসিক রোগি ১৬ শতাংশ

সংরক্ষিত সংসদ সদস্য দিলারা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পারিবারিক ও সামাজিকসহ নানা কারণে অনেকেই মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। দেশে ১৬ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসায় সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শূন্য পদ হাজার ৫৮৪ টি

চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মোট পদ ৩ হাজার ৫০৮, পূরণকৃত পদ ১ হাজার ৯৪২ এবং শূন্যপদ ১ হাজার ৫৮৪টি।

একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রজেকশন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার ছিলো প্রতি লাখে ১৭৬ জন। ১৯৯০ সালে এ মৃত্যুর হার ছিল ৫৬৯ জন। বর্তমানে ভারতে এক লাখ শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ১৭৪, পাকিস্তানে ১৭৮, নেপালে ২৫৮, আফগানিস্তানে ৩৯৬ এবং শ্রীলঙ্কায় ৯৮ জন মায়ের মৃত্যু ঘটে।

ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাধিকার ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ১০৪টি এ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে দেশের সর্ববৃহৎ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২টি এ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর