thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

রিজার্ভ চুরি

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার অবহেলা ছিল : ফরাসউদ্দিন

২০১৬ ডিসেম্বর ০৯ ১১:২১:২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার অবহেলা ছিল : ফরাসউদ্দিন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসতর্কতার প্রমাণ পেয়েছে ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি। ব্যাংকের নিম্ন ও মধ্যমস্তরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেলেও তারা সরাসরি রিজার্ভ চুরির সঙ্গে যুক্ত নয়।

রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদেন্ত গঠিত কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সেকে এমনটিই জানিয়েছেন।‘

গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ সরকার। গত মে মাসে কমিটি তাদের প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নিকট হস্তান্তর করে। প্রতিবেদন প্রকাশে বেশ কয়েক দফা সময়ও ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমে এ দেশটিতে চলে যায়। তদন্ত প্রতিবেদন কোন অবস্থাতেই দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অবশ্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রতিবেদন দেওয়া কথা বলছেন।

এমন পরিস্থিতেই তদন্ত কমিটির প্রধান ফরাসউদ্দিন রিজার্ভ চুরি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিষয়ে বলেন, ‘তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে, অসতর্ক ছিল এবং পরোক্ষ সহযোগী ছিল।’ ‘তবে কমিটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বাইরের কারও দ্বারাই রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে’ যোগ করেন ফরাসউদ্দিন।

তবে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের কারও নামই বলেননি তিনি।

রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা থাকলেও তারা যে রিজার্ভ চুরিতে জড়িত নয় সেটি স্পষ্ট হওয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা উচিত বলে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেন ফরাসউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেহেতু তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি সে জন্য ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা কারা এটি করেছে এ বিষয়ে কোন কিছুই বলা হয়নি।

সুইফট লেনদেন ব্যবস্থার মাধ্যমে হ্যাকাররা নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। তবে অনেকগুলো লেনদেন স্থগিত করে দেওয়া সম্ভব হলেও ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের একটি শাখায় সরিয়ে নিতে সমর্থ হয় হ্যাকাররা। এ সব অর্থের বড় অংশই জুয়ার আসরে চলে যায় এবং বাকি অর্থ পাচারের বিষয়টি অজানাই থেকে গেছে।

চুরি হয়ে যাওয়া অর্থের ১৫ মিলিয়ন ডলার এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

ফরাসউদ্দিন বলেন, চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ উত্তোলন ও জুয়ার আসরে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য রিজাল ব্যাংক দায়ী।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এনআই/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর