thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাসের প্রতিবেদন

‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ’

২০১৭ জানুয়ারি ১১ ২১:১১:১৩
‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ’

জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : বিশ্বব্যাংক বলেছে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে ৭ শতাংশে উঠতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত।

মঙ্গলবার রাতে (১১ জানুয়ারি) প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে। বলা হয়েছে রেমিটেন্স কমে গিয়ে ব্যক্তিখাতে ভোগ কমে যাওয়া এবং বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরও কমবে। তাছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য একই ঝুঁকি রয়েছে। অর্থনীতির জন্য অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি হিসেবে রাজস্ব ভারসাম্যহীনতা এবং আর্থিক ও করপোরেট ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তবে বিষয়টিকে আমলে নিচ্ছেন না পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন, এটা কোন ব্যাপার নয়। বিশ্বব্যাংক সবসময়ই এরকম পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। আশা করছি এ-বছর প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে গিয়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে। এছাড়া আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশে।

এ বিষয়ে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম দ্য রিপোর্টকে বলেন, বিশ্বব্যাংক যেসব তথ্য উপাত্ত নিয়ে পূর্বাভাস দিয়ে থাকে সেগুলো তাত্ত্বিক হিসাব বলা যায়। আমরা বাস্তবতার ভিত্তিতে হিসাব করি। সেটি শেষ পর্যন্ত মিলে যায়। কেননা বিশ্বব্যাংক গত ৬-৭টি অর্থবছর ধরে প্রবৃদ্ধি নিয়ে যেসব পূর্বাভাস দিয়েছে তার একটিও মেলেনি। তার চেয়ে বেশিই হয়েছে। সুতরাং এতো টেনশনের কোন কারণ নেই। বর্তমান অর্থনীতির সূচকগুলো অনেক ভাল রয়েছে।

অন্যদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে থাকবে ভুটান। ২০১৭ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) হবে ৭ শতাংশ। পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, নেপালের প্রবৃদ্ধি হবে চলতি অর্থবছর ৫ দশমিক শূন্য শতাংশ, শ্রীলঙ্কার (২০১৭ সালে ) প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ, মালদ্বীপের (২০১৭ সালে) ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং আফগানিস্তানের (২০১৭ সালে ) প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

অভ্যন্তরীণ ঝুঁকির ক্ষেত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের ক্ষেত্রে রাজস্ব ভারসাম্যহীনতা, আর্থিক ও করপোরেট ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা কমে যেতে পারে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দুশ্চিন্তা অর্থনীতিকে পেছনে ঠেলে দিতে পারে।

আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। ভারতের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এপি/জানুয়ারি ১১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর