thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

সমাপনী পরীক্ষায় ১২৫ জনে পাস ১ জন

২০১৭ জানুয়ারি ১২ ২৩:২৮:৪৫
সমাপনী পরীক্ষায় ১২৫ জনে পাস ১ জন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রান্ধুনীবাড়ী আলীমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশিত ফলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ১২৫ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন পাস করেছে।

জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের অকৃতকার্য দেখানো হচ্ছে। এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় নবম শ্রেণিতে ১২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ১ জন। এ ফল প্রকাশ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের কাছে কারণ জানতে চান এবং অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের বলেন, ৬০ টাকা বেতন দিয়ে আমাদের কাছে জানতে চাইলে কিছু বলতে পারব না, ৩০০ টাকা দিয়ে যেখানে কোচিং করে সেখানে খবর নিতে বলেন।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা পরীক্ষার খাতা নতুন করে দেখার জন্য অভিযোগ জানায়। খবর পেয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়রাম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্শ্ববর্তী রাজাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা ও সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান বিএসসিকে ডেকে এনে পুনরায় খাতা পর্যবেক্ষণ করে। এতে দেখা যায়, আলিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বিএসসির অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এ ফল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ মৌখিকভাবে সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের আগামী ৬ মাসের ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষার ফল দেখে বেতন দিতে পরামর্শ দেন। পরীক্ষার ফলাফল ভালো না হলে বেতন দিতে বারণ করেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক আদম আলী, আব্দুল রাজ্জাক, বাবুল হোসেন, আব্দুল মালেক, সাকর আলী, লেবুসহ অনেকেই এসব অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন শিক্ষক অতিরিক্ত কোচিং করান।

এ ব্যাপারে রান্ধুনীবাড়ী আলিমুদ্দিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরীক্ষার ফল নিয়ে অভিভাবকরা শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ছাড়া স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার খুবই কম, হয়ত ঠিকমতো স্কুলে আসলে এত ফেল করত না।

বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল হাসান বলেন, এ ধরনের ঘটনার কথা আমাকে কেউ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জানুয়ারি ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর