thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

বিএনপি নেতাদের দেখলে মানুষ টিটকারি দেয় : গয়েশ্বর

২০১৭ জানুয়ারি ১৪ ১৮:২৭:০৫
বিএনপি নেতাদের দেখলে মানুষ টিটকারি দেয় : গয়েশ্বর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি নেতাদের দেখলে মানুষ এখন টিটকারি দেয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এ কথা বলেন। জননেতা আসলাম চৌধুরী মুক্তি পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির কার বিরুদ্ধে কয়টা মামলা হয়েছে এটা স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের লক্ষণ নয়। জনগোষ্ঠী কেমন আছে? তারা যন্ত্রণায় ছটফট করে। এখন আমাদেরকে দেখলে টিটকারি দেয়, বিভিন্ন মন্তব্য করে। তাদের ভাষায় আমাদের যা করা উচিত তা হয়তো করছি না বা পারছি না, একটা কিছু করতে হবে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আমাদের ত্রুটিগুলো কি তা চিহ্নিত করা দরকার। এ ত্রুটিগুলো থেকে কীভাবে মুক্তি লাভ করা যায় সে ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

তিনি আর বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সংবিধানে যতগুলো ধারার মধ্য দিয়ে নাগরিক অধিকার ও রাজনীতি করার যে অধিকারগুলো আছে, সেগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে মনে হয় সরকারের প্রতি তোয়াক্কা না করা উচিত। যে কর্মসূচির জন্য অনুমতি লাগবে সেই কর্মসূচি না করা। যা করব আমরা বিনা অনুমতিতে করব। এজন্য দরকার একটি শক্তিশালী সংগঠন।’

‘আমি বলব না আমাদের বিএনপি শক্তিশালী নয়। শক্তিশালী অবশ্যই, কিন্তু সংগঠিতভাবে শক্তিশালী নয়। কারণ সংগঠনের মধ্যে কিছু এলোমেলো আছে। তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে সংগঠিত করা। সেক্ষেত্রে রাগ-অনুরাগ বাদ দিয়ে পথে যিনি মানানসই পথের দায়িত্ব তাকেই দেওয়া দরকার’ বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।

‘জেলা পর্যায়ে আমাদের যে কমিটিগুলো আছে আমার মনে হয় এর শতকরা আশিজন প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি ঢাকায়ই বসবাস করে’ মন্তব্য করে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘আর থানায় প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিরা জেলা শহরের বাস করে। কেউ তার নিজের এলাকায় বসবাস করে না।’

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘কেউ ওনাকে বলেন ফাটাকেস্ট। উনি হচ্ছেন ফাঁকাকেস্ট। ফাটাকেস্টের তো একটা ভূমিকা ছিল। ফাঁকাকেস্ট মানে হল ফাঁকা বুলি দেওয়া।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আসলাম চৌধুরী মামলা খেয়ে জেলে গিয়েছে, এজন্য সে নেতা হয়েছে, জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছে। এমনও নেতা আছে একদিনের জন্য মিছিলে ছিল না, একদিনের জন্য জেলে যায়নি। একদিনের জন্যও পুলিশের পিটানি খায়নি। প্রমোশন একবার দুইবার না, একইসঙ্গে ট্রিপল প্রমোশন পর্যন্ত হয়েছে। এগুলো কর্মীদের হতাশাগ্রস্ত করেছে।’

মীর নাসির বলেন, ‘আমরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আন্দোলনে নেমেছিলাম। ৫ তারিখের পর আন্দোলন আর হয়নি। কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। আমি সন্ধ্যায় জেলে ঢুকে দেখলাম, আমাদের সাথে যত কর্মী ছিল, সব জেলে ঢুকে গেছে। আর বিশেষ বিশেষ নেতাকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দে, স্বাচ্ছন্দে দিন যাপন করছে।’

তিনি বলেন, ‘কি দরকার ছিল নতুন নতুন নেতা আমদানি করার। নতুন নতুন নেতাকে যোগদান করানোর। আমদানিকারী ও যোগদানকারী নেতারাই আজকে দলের এ অবস্থার জন্য দায়ী। নেতাকে কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে। না হলে কর্মীরা আন্দোলনে যাবে না।’

ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকাল আপনারা...সরকারের পাশে...উনি সহনশীল নেতা। ওনারা খুব ভাল নেতা। আমার তো সহনশীল নেতার দরকার নেই, আমার দরকার অ্যাগ্রেসিভ লিডার, যে কর্মীদের নিয়ে পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবে।’

পরিষদের আহ্বায়ক জসিম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়য়েদসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/জানুয়ারি ১৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর