thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের মাঝে মাতৃভাষার পাঠ্য বই বিতরণ

২০১৭ জানুয়ারি ১৫ ২০:৩১:২৯
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের মাঝে মাতৃভাষার পাঠ্য বই বিতরণ

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা- ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চারটি সম্প্রদায়ের শিশুদের মাঝে মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ্য বই বিতরণ করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের মাঝে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন।

এ সময় মারমা ৪২৩৫ জন, চাকমা ২০৮ জন, ত্রিপুরা ৮৬৫ জন এবং তঞ্চঙ্গ্যা ৭৩ জন শিশুকে বই দেওয়া হয়। জেলার সাত উপজেলার প্রতিটি শিশুকে নিজের মাতৃভাষায় প্রকাশিত ২টি করে মোট ১০ হাজার ৭৬২টি পাঠ্য বই দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা এবং গারো পাঁচটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় সর্বমোট ২৫ হাজার পাঠ্য বই ছাপানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আবছার, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, সিইয়ং ম্রো, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, ‘মাতৃভাষায় শেখার অধিকার সকলের আছে। মাতৃভাষায় লেখাপড়া শেখানোর দাবি পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের। পাহাড় সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা এবং গারো পাঁচটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় পাঠ্য বই ছাপিয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের মাঝে তুলে দিয়েছে। আজ (রবিবার) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের স্বপ্ন পূরণের দিন। পর্যায়ক্রমে সরকার অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষায়ও পাঠ্য বই ছাপানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষিত হলে চলবে না, সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজের প্রয়োজনেই সকলকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া দরকার। পার্বত্যবাসী শিক্ষা-দীক্ষা সবক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছেন। পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে আন্তরিক সরকারও। কিন্তু পার্বত্যবাসীকে আন্তরিকভাবে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/এনআই/জানুয়ারি ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর