thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৮ শাওয়াল 1445

দ্রুত আপিল শুনানির চেষ্টা করা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

২০১৭ জানুয়ারি ১৬ ১৯:২৮:৫০
দ্রুত আপিল শুনানির চেষ্টা করা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলার ঘটনায় ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত বেশিরভাগ আসামিই দেশের একটি এলিট ফোর্স র‌্যাবে কর্মরত ছিলেন। রাষ্ট্রের প্রধান কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, এই মামলার আপিল যাতে উচ্চআদালতে দ্রুত শুনানি হয় সেই চেষ্টা করা হবে।

রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় মাহবুবে আলম বলেন, চেষ্টা করা হবে তাড়াতাড়ি যাতে শুনানি হয়। এখানে তো ডেথ রেফারেন্স কেস অনেক জমে আছে এবং সবচেয়ে বড় একটা মামলা যেটা নাকি বিডিআর মামলা এটাও রায়ের পরে প্রায় দুবছর যাবত হচ্ছে।

নিম্নআদালতের রায়কে প্রত্যাশিত উল্লেখ করে মাহবুবে আলম বলেন, এই রায়ে মোট ৩৫ জন আসামির ভিতরে ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমি মনে করি জনগণ প্রত্যাশিত রায় পেয়েছে। এ রায়ে এটিই প্রমাণিত হলো দেশে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। অপরাধী যতোই শক্তিশালী হোক বা যে বাহিনীরই হোক না কেন, অপরাধ করলে তার বিচার হওয়া উচিত এবং বিচার হয়েছে। আমি মনে করি যারা ভিক্টিম তারা প্রত্যাশিত রায় পেয়েছে।

বিচারিক আদালতের রায় যাতে উচ্চ আদালতে বহাল থাকে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে রাষ্ট্রপক্ষ। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নিম্নআদালত ফাঁসির আদেশ দেওয়ার পরও এটা কার্যকরি হয় না, যে পর্যন্ত না হাইকোর্ট বিভাগ এটাকে বহাল রাখে। নিশ্চয়ই বিজ্ঞ বিচারক সমস্ত রেকর্ডপত্রসহ এই মামলার নথিসহ রায় হাইকোর্টে পাঠাবেন ডেথ রেফারেন্স কেস হিসেবে। এইখানে এটার বিচার হবে এবং সেই বিচারে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করব আদালতকে সাহায্য করার এবং আদালতে আমাদের সমস্ত যুক্তিতর্ক তুলে ধরার। আমরা চেষ্টা করব অপরাধ যারা করেছে তাদের শাস্তি যাতে বহাল থাকে।

সাত খুন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদসহ ২৬ জনের ফাঁসি ও বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় আদালতে মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন। মামলার শুরু থেকেই র‌্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি পলাতক।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এই মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর