thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

বিরাজমান সমস্যা সমাধানে সরকারের উদ্যোগ দরকার : সন্তু লারমা

২০১৭ জানুয়ারি ১৬ ১৯:৫১:৫১
বিরাজমান সমস্যা সমাধানে সরকারের উদ্যোগ দরকার : সন্তু লারমা

বান্দরবান প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা বলেছেন, ‘বিধিমালা প্রণনয়ণসহ ভূমি কমিশনের বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের আরো উদ্যোগ দরকার। কমিশনের শাখা অফিসের কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন। ভূমি কমিশনের ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন। ভূমি কমিশনের সমস্যা গুরুত্ব অনুভব করে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে আমরা মনে করি। কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ণের গুরুত্ব আমরাও অনুভব করছি। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সভায় সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এসব কথা বলেছেন সন্তু লারমা। দুপুরে স্থানীয় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে দীর্ঘ তিন ঘন্টাব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে রাঙামাটি চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশিষ রায়, খাগড়াছড়ি মং রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, বান্দরবান বোমাং রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংশৈপ্রু চৌধুরী, ভূমি কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব সোয়েব উদ্দীন খান, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোমেনুর রশীদ আমীন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ভূমি কমিশনের জনবল সংকট, বিধিমালা সংশোধন এবং ভূমি নিষ্পত্তির জমা পড়া আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ২২ হাজার ৮৮১টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বান্দরবানে ৪ হাজার ৫৬৮টি, রাঙামাটিতে ৯ হাজার ৯৪০টি এবং খাগড়াছড়িতে ৮ হাজার ৩৭৩টি আবেদন জমা পড়েছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক বলেছেন, ‘নতুন গঠিত ভূমি কমিশনের তৃতীয় সভায় দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবকিছুই ঠিকঠাক, আলোচনাও ফলপ্রসু হয়েছে। তবে দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আপত্তি, অভিযোগ থাকায় সেটি সংশোধনের পরামর্শ এসেছে। কমিশনের জনবল, বাজেট এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নেই। যে কারণে ভূমি কমিশনে জমা পড়া আবেদনগুলোর ওপর শুনানি শুরু করা যাচ্ছে না। তিন পার্বত্য জেলায় কমিশনের তিনটি শাখা অফিস চালু করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর