thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ভাঙনের ঝুঁকিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি

২০১৭ জানুয়ারি ১৬ ২০:৩০:০৪
ভাঙনের ঝুঁকিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি

নীলফামারী প্রতিনিধি : দুই বছর আগে বৃষ্টিপাতে ক্লাস রুম ও স্কুল রক্ষার মাটি ভেঙে পরার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সংস্কার করা হয়নি জেলার ডোমার উপজেলার ৫৪নং বড় রাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।বিদ্যালয় ঘেঁষে রয়েছে শালকী নদী। আর এই নদী ভাঙন গিয়ে ঠেকেছে বিদ্যালয় পর্যন্ত। গত বছর বর্ষায় শিশু শ্রেণির রুমটি ভেঙে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে বিদ্যালয় ভবন। কোনোমতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যালয়ক্ষগুলো রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসরুম ভেঙে পরায় দ্বিতীয় ও ৪র্থ শ্রেণির ক্লাস নিতে হয় খোলা আকাশের নিচে। বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও বিদ্যালয়টি সংস্কার না করায় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।তাছাড়া প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বিদ্যালয় পর্যন্ত নদী ভাঙন শুরু হলেও সেটিও রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি শিক্ষা অফিস। নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হাচিনুর রহমান নিজস্ব উদ্যোগে স্কুলে মাটি ভরাট করলেও তা যথেষ্ট নয়। এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়টি এক সময় শালকী নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকবৃন্দ।

সফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান, প্রায় তিনবছর হতে চললো বিদ্যালয়টি ভেঙে পরার। এখনও মেরামত না করায় স্কুলের মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাচ্ছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন শ্রেণি কক্ষটি ভেঙে পরার কারণে বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণিকক্ষ ঝুঁকির মধ্যে পরেছে। সামান্য বাতাসে ঢলে পরছে বিদ্যালয়ের কক্ষগুলো। তাছাড়া সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যালয়ের কাঠ ও ইটগুলো নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে।

১৯৫৮ সালে ৫৩ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের পর থেকে কোন সংস্কার করা হয়নি। ভাঙাচোরা রুমে কোন মতেই ক্লাস নিতে হচ্ছে।তাছাড়া ক্লাস রুমের একটি অংশ বর্ষার পানিতে ভেঙে পরার পর ঐ ভাঙা স্থানে মাটি ভরাট না হওয়ায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা জানান, স্কুলের এই অবস্থার বিবরণ জানিয়ে একাধিকবার ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন কাজ হয়নি। বিদ্যালয় মেরামতের জন্যও কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। লিখেও কোন লাভ হবে না বলে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হাচিনুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টি সংস্কার করা জরুরি হয়ে পরেছে। এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পরতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। অবহেলিত এই বিদ্যালয়টি সংস্কার জরুরি হয়ে পরলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হতাশ হয়ে পরেছে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ জাহান মন্ডল জানান, বিষয়টি ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর