thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

কুয়াকাটাকে আকর্ষণীয়ভাবে প্রস্তুত করা হবে : শিল্পমন্ত্রী

২০১৭ জানুয়ারি ১৬ ২১:২৭:৪০
কুয়াকাটাকে আকর্ষণীয়ভাবে প্রস্তুত করা হবে : শিল্পমন্ত্রী

কুয়াকাটা প্রতিনিধি : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘কুয়াকাটার সি-বিচ রক্ষাকল্পে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশি পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় করতে কুয়াকাটাকে প্রস্তুত করা হবে। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য অবলোকনের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

মেগাবিচ কার্নিভাল কুয়াকাটা ২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি কুয়াকাটায় তিন দিনের বিচ কার্নিভাল কুয়াকাটা ২০১৭ এর সমাপনী ঘোষণা করেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের নভেম্বরে প্রথমে কুয়াকাটার প্রতি দৃষ্টি দিয়েছিলেন। তার নির্দেশনায় কুয়াকাটায় পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রথম জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছিল। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করছে।

বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে রাজনীতি করার সুযোগ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনের আগে বিশেষ লঞ্চ নিয়ে তিনি বৃহত্তর বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন। তখন তিনি এসব অঞ্চলের সম্ভাবনাময় দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করছেন।

১৯৯৮ সালে কুয়াকাটাকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রে উন্নয়নের কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন পর্যটন হলিডে হোমসের দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়।

বরিশালে শিক্ষাবোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় করা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পায়রা বন্দর নির্মাণ এই অঞ্চলের উন্নয়নের বড় দিক। এখানে এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পায়রা বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ইতোমধ্যে তিনটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা ব্রিজের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এছাড়া এই অঞ্চলে বিসিকের উদ্যোগে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ রয়েছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান এমপি, একেএমএ আউয়াল এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার সরকার, পর্যটন কর্পোরেশনের অতিরিক্ত সচিব অপরূপ চৌধুরী, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার সৈয়দ মোসফিকুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী, কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কুয়াকাটার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্ল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও আক্তারুজ্জামান খান কবির।

সোমবার মেগাবিচ কার্নিভাল কুয়াকাটা ২০১৭ এর সমাপনী দিনে বিচ ক্লিনিং এর কর্মসূচিতে অংশ নেয় স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশবরেণ্য শিল্পীরা মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন। স্থানীয় হাজারো মানুষসহ শত শত পর্যটক গভীর রাত পর্যন্ত উপভোগ করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পর্যটককেন্দ্র কুয়াকাটাকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে ১৪ জানুয়ারি শুরু হয় মেগাবিচ কার্ণিভ্যাল কুয়াকাটা ২০১৭। এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে কুয়াকাটার মানুষের মধ্যে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।

তবে এ বিচ কার্নিভালের সুন্দরবন ট্যুরসহ বেশ কিছু ইভেন্ট বাতিল হওয়ায় ট্যুরিস্টরা ক্ষুদ্ধ মনোভাব পোষণ করেছেন। আলোকসজ্জা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা। সৈকতের বেলাভূমে নির্মিত অস্থায়ী কটেজের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আগত পর্যটকরা। তাদের সুপারিশ আগামীতে এ কার্নিভালে যেন কুয়াকাটার ইতিহাস-ঐতিহ্য যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়। তবে আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলগুলোতে গলাকাটা বাণিজ্যের মানসিকতা আগতদের অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। একাধিক পর্যটক এজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দুষেছেন। ১৪ জানুয়ারি এ কার্নিভালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর