thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

সাভারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

২০১৭ জানুয়ারি ১৬ ২২:৩৩:৫৮
সাভারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

সাভার প্রতিনিধি : সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালটিতে ভাংচুর করেছে। এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাসপাতালের পরিচালক, ম্যানেজার, ডাক্তার ও নার্সরা গা ঢা দিয়েছে।

গেন্ডা মহল্লার বি-৮/৪ নং বাড়ির নিচতলায় অবস্থিত মনামী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত গৃহবধূর নাম নয়ন তারা (১৮)। তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার নয়নদি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। নয়ন তারা স্বামী আতোয়ার রহমানের সাথে গেন্ডা তারা মসজিদের পাশে মজিদ খানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।

নিহতের স্বামী ঢাকা সোয়েটারের ওয়াশিং অপারেটর আতোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুরের খাবারের বিরতির সময় বাসায় আসি। এ সময় আমার ভাবি বলে, তোমার বউয়ের ব্যথা উঠেছে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে বিকেলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম আর জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী লিপি আক্তার ও ম্যানেজার সুমন জানায় আমার স্ত্রীকে সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিলেও মাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই তার স্ত্রী মারা গেছে। তাই বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি।

নিহতের মা সাহিদা বেগম বলেন, ‘দুপুরে মনামী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স রঞ্জনা ও মার্কেটিং অফিসার রাশেদা আমাদের বাসায় গিয়ে নয়ন তারাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

সরেজমিনে হাসপাতালটিতে গিয়ে কথা বলার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুন্নাহার সনেট, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এ্যানেসথেসিয়া) নাজমুল হুদা মিঠু, নার্স রঞ্জনা এবং হাপাতালের পরিচালক এম আর জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী লিপি বেগম অপারেশনের সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু রোগী মারা যাওয়ার পর তারা কৌশলে পালিয়ে যায়।

গাইন বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুন্নাহার সনেট বলেন, নয়ন তারার অপারেশনের সময় প্রেসার অনেক কম ছিল এবং বাচ্চার হার্টবিট বেশি ছিল। যে কারণে অপারেশন করা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আমরা বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানানোর পর তাদের বন্ডসই নিয়েই অপারেশন করেছি। এ ছাড়া অপারেশনের সময় আমি দ্রুত বাচ্চাটিকে বের করে দিয়ে চলে আসি। কিন্তু ওই প্রসূতিকে স্পাইনাল দেওয়ার পর বিপি ফল করায় তার মৃত্যু হয়েছে। তাই এ বিষয়ে কেন প্রসূতির জ্ঞ্যান ফিরেনি সেটি ডা. মিঠু ভালো বলতে পারবেন।

তবে এ বিষয়ে ডা. নাজমুল হুদা মিঠুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, রোগীর মৃত্যুর খবর শুনে আমরা হাসপাতালটিতে লোক পাঠিয়েছি। এ ছাড়া আমাদের গাইনী কনসালটেন্ট জয়নব আক্তারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির তদন্তে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/এনআই/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর