ইস্টার্ন রিফাইনারির নতুন ইউনিটের নকশা করতে চুক্তি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র তৈল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনে নকশা করতে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

সচিবালয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান টেকনিপের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মো. মোজাম্মেল হক এবং টেকনিপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সেলস ম্যানেজার দিদিয়ার লিকুয়েক্স ও টেকনিপ মালয়েশিয়ার ডিরেক্টর আমরার বিন আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

‘ইআরএল ইউনিট-২’ স্থাপনের জন্য প্ল্যান্টের ‘ফ্রন্ট ইন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফিড)’ করার এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ইউরো।

এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইআরএল’র বর্তমান প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ১৫ লাখ মেট্রিকটন। বর্তমান পরিশোধন ক্ষমতা আরও ৩০ লাখ মেট্রিকটন বৃদ্ধির জন্য ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। পুরো প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ১৬ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা (দুই হাজার ৯২ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বিপিসি’র নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল।

এ ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করে দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

চুক্তি অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করতে ৬ থেকে ৯ মাসের মতো লাগবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে।’

‘এ রিফাইনারির মাধ্যমে বিশ্বের কোন দেশের ক্রুড অয়েল আমরা পরিশোধন করতে পারব। এখন আমরা একমাত্র গালফ থেকে ক্রুড রিফাইন করতে পারি।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দেশে তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন করা সম্ভব। এতে বছরে ৮০০-৯০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। খরচ ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে উঠে আসবে। রিফাইনারির আয়ুষ্কাল হবে ৩৫ বছর।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৭)