thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনা

বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে

২০১৭ জানুয়ারি ১৯ ১৭:৫৭:৫৪
বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তকে কানধরে ওঠবস করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমানের ৬৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়।

আগামী রবিবার এ বিষয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে। সেদিনই বিস্তারিত শুনানি হবে। তবে বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় প্রতিবেদনে কি আছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে চাননি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে গত বছর ১০ আগস্ট শ্যামলকান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনকে অসম্পূর্ণ ও শোচনীয় বলে অভিহিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ঘটনার হোতাদের বের করতে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) প্রতি এর পুনঃতদন্ত করতে বলেছেন আদালত।

এই তদন্ত প্রতিবেদন গত ৩ নভেম্বর জমা দিতে বলা হয়। তবে এরপর প্রতিবেদন জমা দিতে কয়েকদফায় সময় নেন মুখ্য মহানগর হাকিম।

গত বছর ১৪মে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তকে বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে মারধর করা হলে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৮ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ পত্রিকায় প্রকাশিত শিক্ষকের কান ধরে ওঠবস করার ঘটনায় প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন।

এরপর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন। রুলের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ জুন প্রশাসন প্রতিবেদন জমা দিলেও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রতিবেদন জমা দিতে দুই মাস সময় চান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৪ আগস্ট পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিতে বলে। সেই অনুযায়ী পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজ এই আদেশ দেন আদালত। তবে পুলিশ প্রতিবেদনটি মনঃপুত না হওয়ায় হাইকোর্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/জানুয়ারি ১৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর