thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

চিরনিদ্রায় সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন

২০১৭ জানুয়ারি ১৯ ২০:০৭:২৭
চিরনিদ্রায় সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এমএম রুহুল আমিন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর রাজধানী উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় কবরস্থানে বিচারপতি রুহুল আমিনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপতি রুহুল আমিনের এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিগণ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা।

সাবেক এই প্রধান বিচারপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কাজ বন্ধ ছিল।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি ভোরে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন। সিঙ্গাপুরে ওপেনহার্ট সার্জারি করা হয়েছিল তার। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। পরে বুধবার রাতে বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনের মরদেহ দেশে আনা হয়।

দেশের ষোড়শ প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০০৮ সালের ১ জুন দায়িত্ব নেন এম এম রুহুল আমিন। আর অবসরে যান ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর। তিনি দায়িত্বগ্রহণের সময় ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল।

বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন ১৯৪২ সালের ২৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে ইতিহাস বিভাগ থেকে মাস্টার্স এবং ১৯৬৬ সালে এলএলবি করে পরের বছর তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে জেলা ও দায়রা জজ হন।

দীর্ঘদিন জেলা ও দায়রা আদালতে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ পান বিচারপতি রুহুল আমিন। দুই বছরের মাথায় তাকে স্থায়ী করা হয়। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।

২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি রুহুল আমিন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার দুই ছেলেই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/জুন ১৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর