thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

১/১১’র ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি মওদুদের

২০১৭ জানুয়ারি ২১ ১৬:০৯:৫১
১/১১’র ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি মওদুদের

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ২০০৭ সালের ১/১১’র ঘটনা তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতিকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত ‘জরুরি আইনের সরকারের দুই বছর (২০০৭-২০০৮)’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ড. খন্দাকার মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশন লিমিটেড।

মওদুদ আহমদ বলেন, ১/১১ সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করা। মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন শুধু খালেদা জিয়ার সাথে নয় বাংলাদেশের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। তারা দুই বছরে ক্ষমতায় থেকে দেশের অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা এবং রাজনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এগুলো নিরপেক্ষভাবে তদন্তের জন্য আমি একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই কমিশন গঠন করা হবে।

বর্তমান সরকারকে সেই সেনা সমর্থিত সরকারের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার ১/১১’র সরকারেরই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়। আজকে বিচার বিভাগের ওপর যে নিয়ন্ত্রণ তার শুরু হয় ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দিন এর সময়ই। তখন আদালতে মিলিটারি লোকেরা বসে থাকতো এবং তারা মনিটরিং করতো।

দশম সংসদে কোনো নির্বাচন হয়নি উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে দেশের মানুষ গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কেননা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। সেদিন ৫ কোটি লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে উল্লেখ আছে যে, যদি কেউ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে তাহলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। তাহলে যারা ২০০৭ সালে ক্ষমতায় এসে দুই বছরে দেশকে ধ্বংস করেছে তাদের কর্মকাণ্ড তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন দরকার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিরে বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদের বলেন, ১/১১’র ঘটনা ছিল সামরিক অভ্যুত্থান। বর্তমান সরকার সামরিক না হলেও সামরিক বাহিনীর আদলেই পরিচালিত হচ্ছে। তাদের কাছে কোনো সভ সমাবেশের অনুমতি চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করছে। তারা সামরিক বাহিনীর মতোই আচরণ করছে। কিন্তু আমরা আইয়ুব খানকে দেখেছি, বেশিদিন টিকতে পারেননি।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিহুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতান সর্দার মোহাম্মদ নূরুজ্জামান প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/কেআই/জানুয়ারি ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর