thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

মংলা কাষ্টম হাউসে এক বছরে পাচঁশ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি

২০১৭ জানুয়ারি ২১ ২২:১৫:৫০
মংলা কাষ্টম হাউসে এক বছরে পাচঁশ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি

মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা ব্যুরো : মংলা বন্দর দিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে মোট ২৯ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন চিংড়ি মাছ রপ্তানী হয়েছে। একই সময়ে বন্ড সুবিধার সুযোগ নিতে প্যাকেজিং উপকরণ আমদানী হয়েছে ৯২ হাজার ৪৪৫ মেট্রিক টন। অর্থাৎ রফতানী করা পণ্যের চেয়ে তিন গুণেরও বেশী প্যাকেজিং সামগ্রী বাংলাদেশে আমদানী হয়েছে। কারণ, বন্ড সুবিধায় আমদানী শুল্ক দিতে হয় না। এই সুযোগ নিয়ে খুলনার আটটি ছাপাখানার বিরুদ্ধে পাঁচশ’ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র শুল্ক ফাঁকিই নয়, আমদানী করা সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করেছে। যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। মূলত দেশীয় রফতানী বিকাশের স্বার্থে বন্ড সুবিধা দেওয়া হয়। আর রাষ্ট্র তথা সরকারের এই নীতির সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীরা সরকার তথা রাষ্ট্রের পাওনা ফাঁকি দিচ্ছে।

মংলা কাস্টমস হাউসে বন্ডেড ওয়্যার হাউসে (শুল্ক মুক্ত পণ্যের গুদাম) একটি শক্তিশালী চক্র বেপরোয়াভাবে বছরের পর বছর শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে। এতে তারা নিজেরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে মংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। বন্ডেড ওয়ার হাউসের সুবিধা নিয়ে আমদানী করা ৮টি ছাপাখানার বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ এনে তা পরিশোধের দাবি করেছে তারা।

এসব প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: ২৯৪ কোটি ২০ লাখ ৬৪৫ টাকা; বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টারন্যাশনাল লি: ৬৯ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৬ টাকা, শরীফা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৬ টাকা, সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ টাকা, মৌলি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: ২ কোটি ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৯৬ টাকা এবং বেঙ্গল প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪ টাকা।

এছাড়া সাউথ ওয়েস্ট প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লি: এবং র‌্যাপিড প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের বিষয়টি এখনও নিরীক্ষাধীন রয়েছে।

মংলা কাস্টম কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত টাকা পরিশোধের জন্য লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দাবিনামা জারি করেছে। উপ-কমিশনার স্বাক্ষরিত দাবিপত্রে বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টারন্যাশনাল লি: কে জানানো হয়েছে যে, বন্ড লাইসেন্স পরিদর্শনকালে গুদামে ১৫ হাজার ৩৪৮ দশমিক ৬৪৮ মেট্রিক টন কাঁচামাল কম পাওয়া যায়। যা অবৈধভাবে অন্য জায়গায় সরানো হয়েছে। অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলা এই কাঁচামালের শুল্ক ১শ’ ৮৭ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৩ হাজার তিনশ’ ৭৩ দশমিক ৫ টাকা এবং জড়িত শুল্ক করাদি ৬৮ কোটি ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৮ টাকা যা আদায়যোগ্য।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম সংগঠিত হয়েছে, যথা এককালীন বন্ডিং ক্যাপাসিটির অতিরিক্ত কাঁচামাল মজুদ রাখা, বন্ড সংরক্ষণ এবং বন্ডসংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুসরণ না করে অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রকার আবেদন করে লাইসেন্স গ্রহণকারী অবশ্য পালনীয় শর্তাবলী ভঙ্গ করেছেন। বন্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে লিয়েন ব্যাংক হিসাবে ঢাকার আল আরফাহ ইসলামী ব্যাংক লি: মতিঝিল শাখাকে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব বিধি-বিধান ভঙ্গ করা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাই শুল্ক কর বাবদ মোট ৬৮ কোটি ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯ টাকা আদায়ের জন্যে কেন দাবিনামা জারি করা হবে না, সেই বিষয়ে ৩ জানুয়ারির মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য আইনসম্মত ও সন্তোষজনক না হওয়ায় কাস্টমস অ্যাক্ট অনুযায়ী দাবিনামা জারি করা হলো। এই দাবিনামা জারির ১০ দিনের মধ্যে দাবিকৃত অর্থ সরকারী কোষাগারে যথাযথ খাতে জমা দিয়ে ট্রেজারী চালানের মূল কপি তার দফতরে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: এবং বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টারন্যাশনাল লি: দুটো প্রতিষ্ঠানই লকপুর গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে চরশ’ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: এর নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুল্ক কর্তৃপক্ষের দাবিনামা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে তাদের একাধিক আপিল ও মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তারা জয়লাভও করেছেন। আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গৃহীত হবে।

বেঙ্গল প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: এস এম আজিজুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোনরূপ শুল্ক ফাঁকির সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে একই পরিমাণ পণ্য আমদানী করছি।’ তবে তিনি স্বীকার করেন তাদের কেউ না কেউ শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে।

শরীফা প্রিন্টার্স এন্ড প্যাকেজিং প্রাইভেট লি: এবং সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদ হাসান টিটোর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার শুল্ক কর্তৃপক্ষের প্রায় ৫০ কোটি টাকা দাবিনামা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। ২৯ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানী করতে প্রায় এক লাখ প্যাকেজিং পণ্যের কেন প্রয়োজন? জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান দুটো খুলনাসহ সারা দেশে মাছ রফতানীর জন্য পকেজিং পণ্য সরবরাহ করে থাকেন। তিনি নিজে প্রভাবশালী নন দাবি করে বলেন, হঠাৎ এসে যারা রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, তারাই এসব কাজের সাথে জড়িত।

প্রসঙ্গত, শুল্ক ফাঁকি দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে উচ্চ আদালতে আপীল বিভাগ খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডকে শুল্ক ফাঁকির ২৭২ কোটি টাকা দ্রুত সরকারী কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রায় ছয় মাস হলেও এই টাকা এখনও জমা পড়েনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট খুলনার রূপসায় অবস্থিত খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং-এ শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসেন আহেমেদের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম অভিযান চালায়। এই সময় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদন্ত টিমকে সহযোগিতা না করে এই তদন্ত টিমের অভিযানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করা হয়। ফলে তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২৫ দিন পর আবারও অভিযান পরিচালিত হয়। এই সময় তদন্ত দল এই প্রতিষ্ঠানে ২৭১ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে বলে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত বিধিমতে এই টাকা আদায়ের নির্দেশ দিয়ে রিট নিস্পত্তি করে। এই সময় শুল্কবিধি মতে খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ২৭২ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অপিল করে। এই অপিলেও শুল্ক ফাঁকির ২৭২ কোটি টাকা দ্রুত সরকারী কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

খুলনায় বন্ডেড ওয়্যার হাউসের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব ক’টি প্রতিষ্ঠানের মালিকরাই নানাভাবে আলোচিত এবং সব সরকারের আমলে প্রভাবশালী। তারা সবসময় সরকারের ত্রাণ ভান্ডারে নিয়মিত মোটা অংকের অর্থ দান করেন। এর মধ্যে মৌলী প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি: মালিক কাজী শাহনেওয়াহ সম্প্রতি তার মাছ প্রত্রিয়াজাত কারখানায় ভেজাল ওষুধ তৈরীকালে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

চিংড়ি রফতানীকারক ও প্রিন্টিং-প্যাকেজিং ব্যবসা যেন একই সূত্রে গাঁথা। বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি রফতানী কাজে ব্যবহৃত প্যাকেজিং-এর বিবিধ আমদানী করা পণ্য এই বন্ডেড ওয়ার হাউস ব্যবহারের সুযোগ পায়। এই সুযোগের চরম অপব্যবহারও করা হয়। বিধিমতে, আমদানী করা এসব পণ্যের শুল্ক পরিশোধ না করেই আমদানীকারকরা গুদামজাত করতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে, এসব পণ্য দেশের খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না। এসব চিংড়ি রফতানীর কাজেই ব্যবহার করতে হবে।

মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট চিংড়ি রফতানী হয়েছে ২৯ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন। আর একই অর্থ-বছরে এই চিংড়ি প্যাকেজিং করতে শুধূমাত্র খুলনার ৮টি প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান ৯২ হাজার ৪৪৫ মেট্রিক টন পণ্য আমদানী করেছে। যার পুরোটাই শুল্ক মুক্ত সুবিধার আওতায় আমদানী করা হয়েছে। প্রয়োজনের চেয়ে তিনগুণ পণ্য আমদানী করে এই অর্থ-বছরে প্রায় পাঁচশ’ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

শুল্ক কর্তৃপক্ষ বন্ডেড ওয়্যার হাউস নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করায় খুলনা প্রিন্টিং প্যাকেজিং লি: ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে শুল্কমুক্ত আওতায় মোট পন্য আমদানী করে ৩৩ হাজার ৫৭৭ মোট্রিক টন, তার পরবর্তী বছরে প্রথম ৩ মাসে আমদানী করে ১৩ হাজার ১৮ মেট্রিক টন। মংলা কাস্টম কর্তৃপক্ষ পরে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির দাবিনামা জারি করলে ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে তারা কোন পণ্য আমদানী করেনি। এমনকি বন্ডেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য কোন আবেদনও করেনি।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত হয় খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি:। এর ২৮ মাস পর গত মাসে (ডিসেম্বর ২০১৬) শেয়ার বাজারের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা দেখানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অসহযোগিতা ও কাঁচামালের সংকট এজন্যে দায়ী। এখানে আরও বলা হয়েছে, এনবিআর প্রতিষ্ঠানটির বন্ড লাইসেন্স স্থগিত করেছে এবং বেশ কিছু কাঁচামাল আটকে রেখেছে। ফলে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

জানতে চাইলে মংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. মোহাম্মদ আল আমিন প্রামানিক উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের কাছে শুল্ক ফাঁকির প্রায় পাচঁশ’ কোটি টাকা আদায়ের জন্য দাবিনামা পাঠানোর কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটনের পর খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং বন্ড লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য কোনো আবেদন করেনি। কাজে স্বচ্ছতা, মিথ্যা ঘোষণা বন্ধ করার চেষ্টা, কর ফাঁকি উদঘাটন প্রভৃতি কারণে গত অর্থ-বছরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী হয়েছে; বিশেষ করে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানী শনাক্ত করে জরিমানা খাতে ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।

উল্লেখ্য, বন্ড ওয়্যার হাউসে পণ্য আমদানীর নামে এক বছরে প্রায় পাচঁশত কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির ঘটনা উদঘাটনের পর খুলনার একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মহল মংলা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। নির্দিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তাকে খুলনা থেকে বদলী করার জন্যে কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এস/জানুয়ারি ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর