thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

পাটগ্রামে মৌমাছির ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

২০১৭ জানুয়ারি ২২ ২৩:০৪:০৩
পাটগ্রামে মৌমাছির ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জুড়ে ছোট বড় ৩০টি মৌমাছির চাক রয়েছে। ওইসব মৌমাছির কামড়ে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক কোমলমতি শিশু আহত হয়েছে। তা থেকে রক্ষা পায়নি শিক্ষকরাও। মৌমাছির কামড় থেকে রক্ষা পেতে দরজা-জানালা বন্ধ করে কোন রকমে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারপরেও ভয়ে স্কুলে আসতে চাচ্ছে না শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে এমনটি জেনেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ অনেকটাই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের ভবনের দেওয়ালে ৩০টি মৌমাছির চাক বাসা বেঁধেছে। মৌচাকের কারণে বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম। শুধু তাই নয়, স্কুলের শিশুদের পাশাপাশি শিক্ষক ও পথচারীদেরও মৌমাছি কামড়ে দিচ্ছে। এরপরেও মৌচাকগুলো অপসারণের কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। তাই শিশুদের জীবনের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে দ্রুত ওইসব মৌচাক অপসারণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

পাটগ্রামের কালীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাহাদ ইসলাম জানান, মৌমাছির কামড়ের ভয়ে স্কুলে আসতে মন চায় না। কারণ অনেক শিশুকে মৌমাছি কামড় দিয়েছে।

বিদ্যালয়ের পাশে বসবাসকারী ও কালীরহাট গ্রামের দোলী মুহাম্মদ (৪৫) জানান, প্রায় সময় মধু খেতে দল বেঁধে আসে বাজপাখি। এ সময় পাখিগুলো যখন মৌচাকে হামলা করে তখন মৌমাছিগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে সবাইকে কামড় দেয়। তাই মৌমাছির কারণে বাড়িতে থাকতে পারছি না।

অভিভাবক সুজন মিয়াসহ অনেকেই বলেন, স্কুল ভবনে অসংখ্য মৌচাক বাসা বাঁধায় বর্তমানে সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছি না।

এ বিষয়ে কালীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, মৌমাছির বিষয়ে আমরা উপজেলা পর্যায়ে সকলকে অবগত করেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফিরোজুল আলম বলেন, ‘মৌচাক অপসারণে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ পাটগ্রাম ইউএনও সাহেবকেও জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-কুতুবুল আলম বলেন, ‘এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে কিছুই জানাননি। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একদিন বলেছেন যে, মৌমাছির কামড়ে কয়েকটি বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে। তাই আমি ওই সব বাচ্চাকে দ্রুত হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেছি।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জানুয়ারি ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর