thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

সংঘর্ষ এড়াতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা

২০১৭ জানুয়ারি ২৩ ২২:১০:১৫
সংঘর্ষ এড়াতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এম-৫৩ ব্যাচের এক ছাত্রীকে উক্ত্যক্ত ও গালমন্দ করার জের ধরে এম-৫০ ব্যাচের ছাত্র শহীদকে মারধরের ঘটনায় দু’গ্রুপের উত্তেজনা ও সংঘর্ষ এড়াতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কৃর্তপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন।

এদিকে মারধরের ঘটনায় এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামকে এক বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ নিয়ে দু’ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, এম-৫৩ ব্যাচের এক ছাত্রীর সাথে ভালো সম্পর্ক ও বন্ধত্বু ছিলো একই ব্যাচের ছাত্র অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজনের। ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উক্ত্যক্ত ও গালমন্দ করতো এম-৫০ ব্যাচের ছাত্র শহীদ। এ নিয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে বাঘমারা মেডিকেল হোস্টেলে সিনিয়র ছাত্র শহীদের সাথে এম-৫৩ ব্যাচের ছাত্রদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অনুপম দত্ত অর্ঘ, হিমেল ও এম-৫১ ব্যাচের সিয়ামসহ কয়েকজন শহীদকে মারধর করে। এ ব্যাপারে শহীদসহ এম-৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। পরে বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করা হলে রাতেই কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সাইফুল বারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে সহপাঠী ওই ছাত্রীকে অপমান, কটূক্তি ও উত্ত্যক্ত করার জেরে এম-৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দু’গ্রুপই মারমুখী অবস্থানে চলে যায়। সংঘর্ষ এড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভা ডেকে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিনিয়র ছাত্র এম-৫০ ব্যাচের শহীদকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে একবছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন জানান, দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. ফজলুল হক পাঠান জানান, জুনিয়র শিক্ষার্থীরা কলেজের ৫ম বর্ষের ছাত্র শহীদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উত্তেজনা এড়াতে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীরা হলে থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জানুয়ারি ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর