thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল 24, ১০ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৪ শাওয়াল 1445

শেয়ারবাজারের গোপন তথ্য ফাঁস নিয়ে তদন্তে ডিএসই

২০১৭ জানুয়ারি ২৫ ২১:৩০:৫২
শেয়ারবাজারের গোপন তথ্য ফাঁস নিয়ে তদন্তে ডিএসই

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয়ের মতো অতি স্পর্শকাতর এবং গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনা তদন্তে নেমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পরামর্শ দিয়েছে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত ডিএসইর বোর্ড সভায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বুধবার ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত আমাদের বোর্ড সভায় শেয়ার লেনদেনের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি উঠে আসে। এর আলোকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এমডিকে বলা হয়েছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর আরেক পরিচালক বলেন, শেয়ার লেনদেনের তথ্য ফাঁস হচ্ছে এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। যা এরই মধ্যে গণমাধ্যমেও চলে এসেছে। এ সংক্রান্ত একটি খবর দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হয়েছে। যা ডিএসইর বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়। এর আলোকে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে ডিএসইর এমডিকে বলা হয়েছে।

শেয়ারের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (সিএসই)। এর মধ্যে সিডিবিএলে বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার সংরক্ষিত থাকে। অন্যদিকে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসই তাদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেনদেন মনিটরিং করে থাকে।

এই চারটি প্রতিষ্ঠানের যে কোনো এক বা একাধিক জায়গা থেকে এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লেনদেনের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে ডিএসই থেকে ফাঁস হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছেও শেয়ার লেনদেনের গোপন তথ্য সিডিবিএল থেকে প্রদান করা হয়। যেটা বেআইনী নয়। ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘তথ্য পাচারের অনেক ছিদ্র রয়েছে। ডিএসই, বিএসইসি, সিএসইসি ও সিডিবিএল ছাড়াও কোম্পানির কাছে তথ্য প্রদান একটি বড় ছিদ্র। আমরা আমাদের অংশে অর্থাৎ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোনো তথ্য পাচার হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এমডি সাহেবকে অনুরোধ করেছি।’

এদিকে ডিএসই সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ডিএসই তদন্তে নেমেছে। সত্যি সত্যি ডিএসইর কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী শেয়ার লেনদেনের গোপন তথ্য পাচার করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে সূত্র জানায়, সিডিবিএল থেকে কোম্পানির কাছে একদিন পর শেয়ার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হয়। কিন্তু লেনদেন সংক্রান্ত গোপন খবর লেনদেন চলাকালীনই পাচার হচ্ছে। যা ফেসবুক, ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বড় বড় ব্রোকারেজ হাউজ ও বিনিয়োগকারীর কাছে। টাকার বিনিময়ে এসব তথ্য লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের স্বার্থে লেনদেনের তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত। লেনদেন ও শেয়ার ধারণের তথ্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের আমানত। এই আমানত রক্ষা করা সংশ্লিষ্টদের পবিত্র দায়িত্ব। যেহেতু চারটির বেশি জায়গা থেকে তথ্য ফাঁসের সুযোগ নেই, তাই ওই চারটি জায়গায় নজর দিলেই তা বন্ধ করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে একটি স্বার্থান্বেষী মহল শেয়ার লেনদেনের তথ্য ফাঁস করা শুরু করে। যা নিয়ে ২৩ জানুয়ারি দ্য রিপোর্টে ‘ফাঁস হচ্ছে শেয়ার কেনাবেচার গোপন তথ্য’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশ করা হয়। তাতে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ থেকে শেয়ার কেনাবেচার তথ্য পাচার সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/জেডটি/এনআই/জানুয়ারি ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর