thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

শখের কোয়েলে সফলতার গল্প

২০১৭ জানুয়ারি ২৯ ১৮:৪০:২৫
শখের কোয়েলে সফলতার গল্প

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের ছেলে সুজন মিয়া শখের বসে কোয়েল পাখি পালন করে সফলতার মুখ দেখছেন।

সম্প্রতি তার খামারে গিয়ে দেখা যায়, সুজন মিয়ার খামারে প্রায় ৮০০ কোয়েল পাখি রয়েছে। বাড়ির পাশেই পাখিদের জন্য তিনি একটি খামার তৈরী করেছেন। তিনি, তার বড় ভাই এবং পরিবারের লোকজন এগুলোর দেখাশুনা করছেন।

সুজন মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে শখের বসে তিনি কোয়েল পালন শুরু করেন। কিন্তু শখের বসে করলেও কোয়েল নিয়ে চলছে তার বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রা। তিনি প্রথমে ২০ হাজার টাকার পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ করছেন।

সুজন মিয়া দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দীর্ঘদিন তিনি কাতার ও সৌদি আরবে ছিলেন। ৫ বছর আগে দেশে ফিরে তিনি মাছ চাষের সিদ্ধান্ত দেন। মাছ চাষ শুরুও করেন তিনি। মাছ চাষ করে তিনি সাফল্যও অর্জন করেন।

২০১৬ সালের প্রথমদিকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন মাছ চাষের পাশাপাশি তিনি কোয়েল পালন শুরু করেন। প্রথমে তিনি ৮০০ কোয়েল পাখির বাচ্চা নিয়ে খামার তৈরি করেন। বর্তমানেও তার খামারে পূর্বের ন্যায় ৮০০ পাখিই আছে। তবে তিনি এখন একটি বাচ্চা ফোটানোর মেশিন কিনে বাচ্চা উৎপাদন করার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

তিনি জানান, একটি কোয়েল বছরে প্রায় ৩০০শ ডিম দেয়। প্রতিটি ডিমের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। ২ মাস বয়স থেকেই কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। একটি মুরগীর ডিমের ছেয়ে তিনগুণ বেশি ক্যালরি থাকে একটি কোয়েলের ডিমে। এছাড়া কোয়েল পাখির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় দিনদিন কোয়েলের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া মুরগীর ডিম বা মাংসের চেয়ে কোয়েলের ডিম-মাংসের দামেও বেশি পার্থক্য না।

সুজন মিয়া এলাকায় কোয়েল পালনে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। তার খামারে উৎপাদিত কোয়েল পাখি এখন জনপ্রিয় হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। তার খামার থেকে উৎপাদিত ডিম নিয়ে বিভিন্ন স্থানের বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইসহাক মিয়া দ্য রিপোর্টকে জানান, সুজন মিয়া এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন সহযোগিতা চায়নি। আমাদের সহযোগিতা ছাড়াই সে সাফল্য অর্জন করেছে। যদি আমাদের কাছে এ ব্যাপারে আলোচনা করত তাহলে খামারে পাখিদের ইনজেকশন দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যা করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করতাম। এতে সে আরও উপকৃত হত।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/জানুয়ারি ২৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর