thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

দুর্নীতির ধূসর এলাকা খোঁজা শুরু

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০১ ২৩:২৫:৪৩
দুর্নীতির ধূসর এলাকা খোঁজা শুরু

সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া, জনবল নিয়োগ, প্রকল্প গ্রহণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির ধূসর এলাকা (গ্রে এরিয়া) খোঁজা শুরু হয়েছে। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সরকারি ক্রয়, জনবল নিয়োগ এবং প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রকোপ থাকায় এসব বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রো-এ্যাকটিভ মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতাধীন দফতরগুলোর আওতাধীন দুর্নীতির ধূসর এলাকা (যদি থাকে) শনাক্ত করে দুর্নীতি দমন কর্মসূচির আওতাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।

গত ১৭ জানুয়ারি এ চিঠি দেওয়া হয়। তার আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলমের কাছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির ধূসর এলাকা খোঁজার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা দ্য রিপোর্টকে জানান, গত ৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রো-এ্যাকটিভ মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা বিভাগের সমন্বয় শাখা থেকে সবগুলো সংস্থকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় যেসব সংস্থায় চিঠি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর মহাপরিচালক, পরিকল্পনা কমিশনের সব বিভাগের প্রধান, পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম-সচিব, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবকে।

সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর দেওয়া এক চিঠিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম প্রতিবন্ধক। ফলে দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে এখনো পৌঁছেনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা গেছে, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারলে দেশের জিডিপি প্রতিবছরে প্রায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ কারণে বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কর্মসূচি ও নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি ওই চিঠিতে আরও বলেন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া, জনবল নিয়োগ, প্রকল্প গ্রহণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রো-এ্যাকটিভ মনিটরিং-এর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি জানান, দুর্নীতি দমনে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের যে কোন পদক্ষেপে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে। দুদক ও মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রয়াসে দুর্নীতির মূলোৎপাটিত হবে বলে বিশ্বাস করি।

সূত্র জানায়, তার আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ একটি চিঠি দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে। সেখানে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ করে বৈষম্য কমিয়ে আনতে দুদকের দুর্নীতি বিরোধী উদ্যোগের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের চলমান ভূমিকা আরও বৃদ্ধি করা আবশ্যক। তাই মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর ও সংস্থাসমূহকে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর